নয়া দিল্লি: গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। অবস্থা এমন যে, সে দেশের মানুষ দুবেলা খাবারও ঠিক মতো খেতে পারছেন না। পাকিস্তানে চরমে পৌঁছে গিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। সবজির দাম রীতিমতো আগুন। পছন্দের সবজি খেতেও মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাকিস্তানে রসুনের দাম শুনলে রীতিমতো চমকে যেতে হবে। সেখানে এক কেজি রসুনের দাম ৭৫০ টাকা বলে জানা যাচ্ছে।
বর্তমানে পাকিস্তানে ঢেঁড়শ ৪৬০ টাকায কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শাকসবজি বিক্রি হচ্ছে অনেক কম। এত দাম দিয়ে কেনার সামর্থ্য সবার থাকে না। একদিকে, বর্তমানে ভারতে আলুর দাম প্রতি কেজি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সময়ে, পাকিস্তানে প্রতি কেজি আলু পাওয়া যাচ্ছে ৭০ টাকায়। ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মটর। এছাড়া পাকিস্তানে বিভিন্ন রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন সবজিতে পেঁয়াজের মশলা দেওয়া হয়। কিন্তু পেঁয়াজের দাম ১৭০ টাকা প্রতি কেজি। টমেটোর দামও আকাশছোঁয়া। পাকিস্তানে এক কেজি টমেটোর দাম ১৪০ টাকা।
চলতি বছরের শুরু থেকেই মূল্যবৃদ্ধি প্রবল হারে বাড়তে শুরু করেছে পাকিস্তানে। আটা-ময়দা, পেঁয়াজ, মাংস, তেল এমনকী নুনের দামও বেড়েছে প্রবল হারে। গত বছরের শেষের দিক থেকেই ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আর্থিক সংকটের খবর সামনে আসছিল। ২০২৩-এর শুরুতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।