কাবুল: ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জোড়া টাওয়ারে বিমান হামলা। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার মানুষের। দু’দিন আগেই সেই হামলার ২৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। সেই হামলা চালিয়েছিল আল কায়দা। সেই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে খতম করে মার্কিন সেনা। তার ৮ বছর পর ২০১৯ সালে লাদেনের পুত্র হামজা বিন লাদেনকে খতম করার কথা জানায় আমেরিকা। কিন্তু, সত্যিই কি মৃত্যু হয়েছে হামজার? এই প্রশ্ন উঠল একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর। একটি ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর জানিয়েছে, মৃত্যু হয়নি হামজার। তিনি জীবিত রয়েছেন। শুধু তাই নয়, লাদেনের আর এক পুত্র আবদুল্লা বিন লাদেনকে সঙ্গে নিয়ে আল কায়দার সংগঠন বৃদ্ধি করছেন। এবং পশ্চিমী দুনিয়ায় হামলার পরিকল্পনা করছেন।
তালিবান বিরোধী সামরিক জোট ন্যাশনাল মোবিলাইজেশন ফ্রন্ট(এনএমএফ) রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে। তার পর থেকে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের দারা আবদুল্লা খেল জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন হামজা। তাঁর নিরাপত্তায় রয়েছেন ৪৫০ জন অস্ত্রধারী।
২০১৯ সালে আমেরিকা ঘোষণা করেছিল, বিমান হামলায় মৃত্যু হয়েছে হামজার। আমেরিকা ও অন্য দেশে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে অডিয়ো ও ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন লাদেন-পুত্র। তারপরই আমেরিকার তরফে বিমান হামলায় হামজার মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তবে কোথায় এবং কবে হামজার মৃত্যু হয়, তা জানানো হয়নি। পেন্টাগনের তরফে এই নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
হামজাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি বলে ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। এবং ইরানে তিনি গৃহবন্দি ছিলেন। ২০১৯ সালের বিমান হানায় তাঁর মৃত্যু হয়নি বলেই এবার দাবি করল এনএমএফের রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হামজার নেতৃত্বে আবার নিজেদের সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি করছে আল কায়দা। ভবিষ্যতে ফের পশ্চিমী দুনিয়ায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।