ইসলামাবাদ: বছরের শুরুতেই মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছে আরও মাথা নুইয়ে গেল সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের। এদিন, পাকিস্তানের জিডিপি হার সম্ভাব্য ৩ শতাংশ ধার্য করল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার। অর্থাৎ ২০২৫ সালে আরও তলানিতে যেতে চলেছে পড়শি দেশের আর্থিক অবস্থা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঋণে ডুবে থাকা পাকিস্তানের জিডিপি যে চলতি অর্থবর্ষে ৩ শতাংশের বেশি বাড়বে না, এমনটাই অনুমান আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের। তিন মাস আগেই পাকিস্তানের জিডিপি যে ৩.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছিল তারা। কিন্তু, বছর ঘুরতেই বড় পরিবর্তন। পাকিস্তানের যে ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ তা সেদেশের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার।
তবে ২০২৬ সালে পাকিস্তানের ভাগ্য বদল হলেও হতে পারে বলে জানাচ্ছে তারা। তাদের অনুমান, সেই বছর ৪ শতাংশের কাছাকাছি জিডিপি বৃদ্ধি পাবে পড়শি দেশের।
এই জিডিপি বৃদ্ধির হারে ভারতের কী হাল?
জিডিপির নিরিখে পাকিস্তানকে একশো গোল দেবে ভারত। করোনাকালে যখন ধরাশায়ী হয়েছিল বড় বড় দেশের জিডিপি। সেই সময়েও নিজেদের ধরে রেখেছিল ভারত। করোনাকালের দ্বিতীয় পর্যায়ে, ২০২১ সালে এক ধাক্কায় ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছিল ৯.৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে জিডিপির হার বেড়েছিল ৮.২ শতাংশ।
২০২২ সালের রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই ‘মারণ রোগে’ ভুগছে পাকিস্তান। ঋণ চেয়ে দ্বারস্থ হচ্ছে দেশের ছোট-বড় দেশ ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে। সম্প্রতি, বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে ফের ‘হাত পেতেছে’ তারা। দেশের নুইয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরায় চাঙ্গা করতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে ফের দু’হাজার কোটি টাকা চেয়েছে তারা।