ইসলামাবাদ: তোষাখানা মামলায় আপাতত স্বস্তি ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির। পাকিস্তানের বিশেষ আদালত তাঁদের ১৪ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিল। সোমবারই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সেই সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সে দেশের সাধারণ নির্বাচন ছিল। তার আগে ৩১ জানুয়ারি দেশের ট্রায়াল কোর্ট প্রাক্তন পাক-প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীকে ১৪ বছরের জন্য জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
তবে সোমবারের নির্দেশের পরও জেলমুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতার। কারণ নির্বাচনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে আরও দু’টি মামলা হয়। তোষাখানা মামলায় এই জেল হেফাজত সংক্রান্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইমরান। সোমবার আদালত তার নির্দেশে জানিয়েছে, ঈদের ছুটির পর এই মামলা শোনা হবে। তার আগে পর্যন্ত ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ রইল।
২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান সরকারি প্রধান হিসাবে যে সমস্ত উপহার পান তা তিনি বেআইনিভাবে বিক্রি করে দেন। শুধু তাঁর পাওয়া উপহারই নয়, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারও যে উপহার পেয়েছিল, তা বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ১০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের কোনও উপহার পেলে তা সরকারি কোষাগারে রাখতে হয়। এই অভিযোগ তুলে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো বা এনএবি মামলা করে।