
নয়াদিল্লি: দেরি করে ফেলেছে নয়াদিল্লি। সোমবার যখন চিনের তিয়ানজিনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন মোদী-পুতিন। তার ক্ষণিক পরে ট্রাম্পের মুখে শোনা গেল এই কথা। এমনকি, ভারত-আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্ককে ‘একতরফা বিপর্যয়’ বলেও কটাক্ষ করলেন তিনি।
কিন্তু হঠাৎ করেই কেন এমন ‘কথার উল্কা’ ছুড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? শুল্ক-সমঝোতা সে তো এখনও আলোচনার পর্যায়ে। এখনও কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। ভারতও সেই নিয়ে বাড়তি কোনও দাবিও খাঁড়া করেনি। তা হলে শুধু শুধুই ট্রাম্প চটছেন কেন? সাংহাই সম্মেলনের নানা চর্চিত বিষয়ই কি মূল কারণ?
এদিন নিজের সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, “ভারতে যাওয়া মার্কিন পণ্যগুলিতে নয়াদিল্লি সম্পূর্ণ ভাবে শুল্ক উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। অর্থাৎ জিরো ট্যারিফ। কিন্তু ওরা অনেক দেরি করে ফেলেছে।” তাঁর সংযোজন, “ভারত আমেরিকা প্রচুর পণ্য় রফতানি করে। বলা চলে, ওদের সবচেয়ে বড় গ্রাহকই আমরা। কিন্তু সেই তুলনায় ওই দেশে রফতানি হওয়া মার্কিন পণ্য়ের পরিমাণ অনেকটাই কম।”
এরপরেই ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে ‘একতরফা’ বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, “এই বাণিজ্যিক সম্পর্কটা একেবারে একতরফা। কিন্তু তারপরেও বছর ধরে চলে আসছে। এটা কার্যত বিপর্যয়ও। ভারত তাদের বেশির ভাগ সামরিক সরঞ্জাম ও তেল রাশিয়ার থেকেই কেনে। আমেরিকার থেকে খুব অল্প পরিমাণ আমদানি করে। ওরা মার্কিন পণ্যে শুল্ক সরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছিল, কিন্তু এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।”
ট্রাম্পের মুখে তেলের কথা। প্রথম নয়, এতদিন ব্যবহার হয়েছে জরিমানা চাপাতে। এবার ব্যবহার হল তুলনা করতে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ধীরে ধীরে মুখোশ খুলছেন ট্রাম্প। ভারতের উপর জরিমানা চাপানোর আসল কারণ যে ইউক্রেন, বরং বাণিজ্য। সেটাই এবার স্পষ্ট হচ্ছে।