
টেক্সাস: নৃশংস। আমেরিকার টেক্সাসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির মাথা কেটে দিলেন তাঁরই সহকর্মী। স্ত্রী, পুত্রের সামনেই তাঁকে খুন করা হয়। শুধু তাই নয়, কাটা মুন্ডুটি বর্জ্য পদার্থ ফেলার জায়গায় নিয়ে যান অভিযুক্ত। মৃত ব্যক্তির নাম চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া। ইয়োরডানিস কোবোস মার্টিনেজ নামে অভিযুক্ত ওই সহকর্মীকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন পুলিশ।
নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর)। কর্নাটকে জন্ম বছর পঞ্চাশের চন্দ্র ডালাসে একটি মোটেলের ম্যানেজার ছিলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই মোটেলের এক মহিলা কর্মী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ও বছর সাঁইত্রিশের মার্টিনেজ একটি রুম পরিষ্কার করছিলেন। সেইসময় সেখানে আসেন চন্দ্র। একটি ওয়াশিং মেশিন খারাপ ছিল। ওই ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার না করার জন্য চন্দ্র নির্দেশ দেন। কিন্তু, তিনি সরাসরি মার্টিনেজের সঙ্গে কথা বলেননি। তাঁর নির্দেশ মার্টিনেজকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বলেন অন্য কর্মীকে। এতেই রেগে যান মার্টিনেজ।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছুক্ষণ পর মোটেল থেকে চলে যান মার্টিনেজ। এরপর একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফিরে আসেন। চন্দ্রকে আক্রমণ করেন। নিজেকে বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালান ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তি। তাঁর পিছু নেন মার্টিনেজ। সেইসময় স্বামীকে বাঁচাতে দৌড়ে আসেন চন্দ্রর স্ত্রী ও বছর আঠারোর পুত্র। তাঁদের ঠেলে ফেলে দেন মার্টিনেজ। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে চন্দ্রর মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দেন।
একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কাটা মুন্ডুটি নিয়ে বর্জ্য পদার্থ ফেলার জায়গায় দিকে যাচ্ছেন মার্টিনেজ। সেখান থেকে পালানোর সময়ই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার নিন্দা করেছে হাউস্টনে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট। মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তারা। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। এদিকে, ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে। অটো চুরি ও হেনস্থার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।