AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

 ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কাঁদছে শিশু! অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার বাবা-মায়ের রক্তাক্ত দেহ

পরিবার হিসেবে সুখী ছিলেন তাঁরা। ৭ মাসের গর্ভবতী ছিলেন আরতী (Arati Rudrawar)। কিভাবে ঘটল এই ঘটনা? তদন্ত করছে পুলিশ (police)

 ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কাঁদছে শিশু! অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার বাবা-মায়ের রক্তাক্ত দেহ
| Updated on: Apr 09, 2021 | 1:16 PM
Share

নিউ জার্সি: ব্যালকনিতে একা দাঁড়িয়ে কাঁদছে চার বছরের এক শিশু কন্যা। আর তা দেখেই ছুটে যান প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ ডেকে উদ্ধার করা হয় ওই শিশুর বাবা-মায়ের মৃতদেহ। আমেরিকার অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে পড়ে ছিল ভারতীয় ওই দম্পতির দেহ। দু’জনের দেহে ছুরির আঘাতের চিহ্ন।

মৃতরা হলেন বালাজি ভরত রুদ্র বর ও তাঁর স্ত্রী আরতী বালাজি রুদ্র বর। নিউ জার্সির রিভার ভিউ গার্ডেন কমপ্লেক্সের ২১ নম্বর গার্ডেন প্যালেস অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন ভারতীয় এই দম্পতি। সেই অ্যাপার্টমেন্টের লিভিং রুমে পড়েছিল তাঁদের রক্তাক্ত দেহ। ঠিক কিভাবে এই মৃত্যু তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। স্থানীয় মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ আধিকারিকরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার করে।

ভরত  রুদ্র বরের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর নাতনিকে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখেই ছুটে যান প্রতিবেশীরা। ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার নয়। অটোপ্সি রিপোর্ট দেখেই আসল কারণ খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। দম্পতি যে ছুরির আঘাতে মারা গিয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে, তবে এই ঘটনার পিছনের মোটফটা কি সেটা জানা যায়নি। ভরতের বাবা আরও জানিয়েছেন তাঁর বৌমা ৭ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই ফের আমেরিকা যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও সম্ভাব্য কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা। ওরায সুখী পরিবার ছিল এবং ওদের প্রতিবেশীরাও খুব ভাল ছিল।’

ভারতে ওই দম্পতির দেহ পৌঁছাতে ৮-১০ দিন সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাঁর ওই চার বছরের নাতনি রয়েছেন তাঁর ছেলের বন্ধুর পরিবারে। নিউ জার্সিতে অনেক ভারতীয় থাকেন এবং তাদের সঙ্গে ওই দম্পতির ভালো সম্পর্ক ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আইটি কর্মী বালাজি রুদ্রবর মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে সস্ত্রীক আমেরিকায় চলে যান তিনি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাঁদের বিয়ে হয়। একটি ভারতীয় ইনফোটেক সংস্থার কাজ করতেন বালাজি আর তার স্ত্রী ছিলেন গৃহবধূ।