Cosmetic Surgery: মেদ ঝরানো থেকে স্তন বৃদ্ধি, সার্জারির আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পার্টি, তারপর ভয়ঙ্কর পরিণতি

Cosmetic Surgery: স্তন বৃদ্ধি, শরীরে অতিরিক্ত মেদ বাদ দেওয়া ও নাকের কসমেটিক সার্জারি করতে চেয়েছিলেন আনা। শনিবার তিনি ও তাঁর স্বামী সার্জেনের সঙ্গে পার্টিও করেন। পরদিন কসমেটিক সার্জারি করেন ওই সার্জেন।

Cosmetic Surgery: মেদ ঝরানো থেকে স্তন বৃদ্ধি, সার্জারির আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পার্টি, তারপর ভয়ঙ্কর পরিণতি
আনা বারবারা বুহর বুলদ্রিনিImage Credit source: Instagram

Jun 20, 2025 | 7:13 PM

ইস্তানবুল: নিজেকে আরও সুন্দরী করতে চেয়েছিলেন। তার জন্য কসমেটিক সার্জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সাজার্রির আগের দিন চিকিৎসকের সঙ্গে পার্টিও করেছিলেন। কিন্তু, সার্জারির পরই মৃত্যু হল এক ইনফ্লুয়েন্সারের। মৃতের নাম আনা বারবারা বুহর বুলদ্রিনি। নিজেদের প্রচারের জন্য বছর একত্রিশের ওই গায়িকা ও ইনফ্লুয়েন্সারের কসমেটিক সার্জারি বিনামূল্যে করেছিল ওই হাসপাতাল।

কসমেটিক সার্জারির জন্য গত শুক্রবার স্বামীর সঙ্গে পূর্ব আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে টার্কির ইস্তানবুলে এসেছিলেন আনা। তার স্বামী এলগার মাইলস একজন শিল্পী। তিনি জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালের প্রচারের শর্তে সার্জারি বিনামূল্যে করার কথা বলা হয়।

স্তন বৃদ্ধি, শরীরে অতিরিক্ত মেদ বাদ দেওয়া ও নাকের কসমেটিক সার্জারি করতে চেয়েছিলেন আনা। শনিবার তিনি ও তাঁর স্বামী সার্জেনের সঙ্গে পার্টিও করেন। তাঁর স্বামী বলেন, সার্জারি বুধবার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সুস্থ হতে একদিন অতিরিক্ত যাতে সময় পাওয়া যায়, সেজন্য সার্জারির দিন বদলের অনুরোধ জানান তিনি। তখনই সার্জেন রবিবার সার্জারির সিদ্ধান্ত নেন।

এলগার মাইলস বলেন, “হাসপাতালটি দেখতে আমরা রবিবার সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু, চিকিৎসক সেদিনই সার্জারির কথা বলেন। আনা কোনওরকম প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই সার্জারি করা হয়।” আগের দিন রাতে পার্টি করলেও চিকিৎসক আশ্বস্ত করেন, সার্জারিতে কোনও অসুবিধা হবে না। মাইলস বলেন, “চিকিৎসক আমাকে বলেন, কোনও চিন্তা নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে।”

অস্ত্রোপচারের পর আনার হৃদস্পন্দন কমে যেতে থাকে। হাসপাতালের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই রোগী সমস্ত সম্মতি দিয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আনার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, “চিকিৎসকদের সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি আনাকে।”