দ্য হগ: গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালানো যাবে না। বন্ধ করতে হবে গণহত্যা। প্যালেস্টাইনের সাধারণ মানুষের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। শুক্রবার ইজরায়েলকে এমনই নির্দেশ দিল আন্তর্জাতিক আদালত। গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় গাজায়। আচমকা ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল হামাস গোষ্ঠী। পণবন্দীও করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন ইজরায়েলের নাগরিককে। এরপরই গাজা ভূখণ্ড ঘিরে ফেলে ইজরায়েল। একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রয়োগ করতে শুরু করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। কয়েক মাস কেটে গেলেও গাজা ভূখণ্ডের ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। যুদ্ধে কার্যত বিপর্যস্ত গাজা। আদালতের নির্দেশ পণবন্দীদের মুক্ত করে দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে প্যালেস্টাইন। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, আইনের উর্ধ্বে কিছু নয়। আদালতের এই নির্দেশের পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, প্যালেস্টাইনে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের ইস্যু আন্তর্জাতিক আদালতের নিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। গত তিন মাসে প্যালেস্টাইনে ২৬০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে আদালতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আবেদনে বলা হয়েছে, হামাস ইজরায়েলের অন্তত ১২০০ নাগরিককে হত্যা করেছে, ২৪০ জনকে পণবন্দি করেছে। তারপরই শুরু হয় যুদ্ধ। একদিকে গাজায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন অন্যত্র। প্যালেস্টাইনের অভিযোগ তাদের দেশের হাসপাতালগুলি পর্যন্ত বন্ধ করে রেখেছে ইজরায়েল, যাতে কোনওভাবেই আহতদের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, কোনওভাবেই যাতে গণহত্যা না হয়, তেমন নির্দেশ দিতে হবে সেনাবাহিনীকে। এক মাসের মধ্যে কী কী পদক্ষেপ করা হল, তা জানাতে হবে আদালতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা আশা করছে যে আদালতের নির্দেশ অমান্য করতে না ইজরায়েল।