
মস্কো: সোমবার সাতসকালেই রাশিয়ার পৌঁছে গিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। রবিবার ভোরে আমেরিকা হামলার পরেই তপ্ত হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল। ইরানের পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভাদেভ। সেই সূত্র ধরেই মস্কোর উদ্দেশে রাতের দিকে রওনা দেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী। সোমে ছিল বৈঠক।
রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ইরানের বিদেশমন্ত্রীর। ইজরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে আমেরিকার ‘এন্ট্রিতে’ ক্ষুব্ধ তিনি। এদিন বৈঠক চলাকালীন পুতিন বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যেভাবে ইজরায়েল ও আমেরিকা আসরে নেমেছে, সেটা সম্পূর্ণ ভাবেই ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক।’ পাশাপাশি, ইরানের উপর চলা হামলাকে ‘অপ্রীতিকর আগ্রাসন’ তকমা দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এই হামলার কোনও যুক্তি থাকতে পারে না।’
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ইরানের বিদেশমন্ত্রীর প্রতি পুতিনের প্রতিটি বার্তাই আসলে ইঙ্গিতবহ সমর্থন। রাশিয়া যুদ্ধে না জড়িয়েও ইরানের পাশে রয়েছে বলেই গোটা বিশ্বকে ঘুরপথে বার্তা দিয়ে দিলেন পুতিন।
উল্লেখ্য, এদিন ইরানের বিদেশমন্ত্রীর রুশ সফরে ‘খুশি হয়েছেন’ পুতিন, এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে ক্রেমলিন প্রশাসন। পাশাপাশি, ইরানকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সাহায্য়ের বার্তা দিয়েছেন তিনি। বৈঠকের পর পুতিন বলেছেন, ‘রাশিয়া ইতিহাত ও আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তি সঠিক দিকেই দাঁড়িয়েছে।’
সোমেও পারদ নামেনি দুই দেশের সংঘাতের। এদিন সকাল থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে কামান দাগতে উঠে পড়ে লেগেছে ইজরায়েল ও ইরান। ভোরের দিকে ইজরায়েলের ঐতিহাসিক শহর জেরুজালেমে হামলা চালিয়েছে ইরানের সেনা। পাল্টা আবার গতকাল আমেরিকার হামলা চালানো ফরডো পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করেই ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইজরায়েল।