
তেহরান: নিরস্ত্র করতে হবে সেনাকে। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে এখন সংঘাতে নেমেছে ২৩০০ কিলোমিটার দূরে থাকা ইজরায়েল ও ইরান। সেই সূত্র ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ধুরন্ধর গুপ্তচর ইজরায়েলের মোসাদ দফতরে ব্যালেস্টিক হামলা চালাল ইরান। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে, দাউদাউ করে জ্বলছে মোসাদের সদর দফতর। ভেঙে পড়েছে একাংশ, দাবি ব্রিকস নিউজের।
রাতভর হামলায় ইরানের কোমর ভাঙতে তাদের একাধিক সেনাঘাঁটি ধ্বংস করেছে ইজরায়েল। হামলা চালিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের অফিস IRIB-তেও। এমনকি, মেরে ফেলেছে তাদের একাধিক কমান্ডর পদমর্যাদার সেনা আধিকারিককেও। ইজরায়েলি সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতভর হামলার মাধ্যমে তারা শেষ করেছে ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই দ্বারা সদ্য নিযুক্ত সেনাপ্রধান আলি শাদমানিকে। দিন তিনেক আগেই ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডর হোসেন সালামি ও বাহিনী প্রধান হোসেন বাগেরির ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যুর পর এই শাদমানিকে জেনারেল পদে উন্নীত করেন খামেনেই।
JUST IN: 🇮🇷🇮🇱 Iran targets Israeli Mossad intelligence building in ballistic missile strike. pic.twitter.com/JvH0GXdBg4
— BRICS News (@BRICSinfo) June 17, 2025
কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার কয়েক দিনের মধ্য়েই প্রাণ গেল তার। যারা বদলা নিতে এবার ইজরায়েলের গুপ্তচর মোসাদের লুকিয়ে থাকা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। বলে রাখা ভাল, ইরানে প্রথম হামলার নেপথ্যে সবচেয়ে বেশি কৌশলী ভাবে ইজরায়েল সেনা মদত দিয়েছিল মোসাদ চরেরা। দিনের পর দিন ইরানের অন্দরে ঘাঁটি তৈরি করে বসেছিল মোসাদের চররা। তারপর রাতের অন্ধকারে সুযোগ বুঝে মোসাদের তুলে ধরা তথ্যর ভিত্তিতে ড্রোন, মিসাইল নিয়ে হামলা চালায় সেনা।