মুখে কিছু বলছেন না, তলে তলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে বড় প্ল্যান ট্রাম্পের, ভারতও তাতে সামিল?
Russia-Ukraine War: মিউনিখে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবাই মনে করেছিল, যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে ভান্স কিছু বলবেন। অথবা তিনি বলবেন আগামিদিনে আর ন্যাটোর খরচ আমেরিকা বহন করতে পারবে না। এবার, ইউরোপও কিছু খরচ করুক। ভান্স কিন্তু ওসবের ধার দিয়েও গেলেন না।

ইউক্রেনে আবার জোরদার হামলা শুরু করেছেন পুতিন। চেরনোবিলে এসে পড়েছে রাশিয়ার গোলা। আর এইরকম একটা অবস্থায়, আমেরিকায় ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে, জার্মানিতে শুরু হয়েছে মিউনিখ সিকিওরিটি কনফারেন্স। যার মূল লক্ষ্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা। এই সম্মেলনের মূল ফোকাসে উঠে এসেছে ভারত।
মিউনিখে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবাই মনে করেছিল, যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে ভান্স কিছু বলবেন। অথবা তিনি বলবেন আগামিদিনে আর ন্যাটোর খরচ আমেরিকা বহন করতে পারবে না। এবার, ইউরোপও কিছু খরচ করুক। ভান্স কিন্তু ওসবের ধার দিয়েও গেলেন না। ২০ মিনিটের ভাষণে মূল্যবোধ (values), ভুল তথ্য (misinformation), বাক স্বাধীনতা (rights of free speech)-এর মতো নানা তাত্ত্বিক বিষয়ে ইউরোপের কড়া সমালোচনা করলেন। ঝুলি খুলে জ্ঞান বিতরণ করলেন। তাতে একদিকে ইইউ-এর নেতারা ক্ষুব্ধ আর বিস্মিত।
সিকিওরিটি কনফারেন্সে হাজির ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বোধহয় এনিয়ে নিজের হতাশাও চেপে রাখতে পারলেন না। তিনি বললেন, “আমেরিকার উচিত আমাদের সঙ্গে কথা বলে পুতিনকে থামানোর প্ল্যান তৈরি করা”।
কেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মিউনিখ সম্মেলনে যুদ্ধ থামানো নিয়ে বিশেষ কিছু বললেন না, এটা অনেকেরই বোধগম্য হয়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, তিনি তাঁর প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পালন করেছেন। সুযোগ পেয়েই ইউরোপকে গাল পেড়েছেন। আর, ট্রাম্প সম্ভবত ঠিক করে রেখেছেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য। যা করার তিনি ওভাল অফিস থেকেই করবেন।
আর এরকম একটা পরিস্থিতিতেই ভারত চলে এসেছে ফোকাসে। রাশিয়া সম্মেলনে নেই। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রে সাবিয়া ও জার্মান ডিফেন্স মিনিস্টার বরিস পিসটোরিয়াসের সঙ্গে মূল আলোচনার ফাঁকেই আলাদা বৈঠক করলেন এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর নিজেই জানান যুদ্ধ থামানো নিয়ে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এমন একটা অবস্থায় মনে করা হচ্ছে যে কনফারেন্সের আলোচনা নিয়ে ভারতের মত ও অবস্থান এবং যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইউক্রেন কী ভাবছে, এসব কিছু ভারতের কাছ থেকে শুনবেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
জয়শঙ্করের আরেকটা মন্তব্যও মিউনিখে ভারতকে এনে দিয়েছে ফোকাসে। বিদেশমন্ত্রী ইউরোপের দেশগুলোর বিরুদ্ধে উন্নয়নশীল বিশ্বের রাজনীতিতে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ করেছেন।





