ইজরায়েল: হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর আগেই প্রকাশ্যে এনেছে ইজরায়েল। শুধু মৃতদেহ দেখেই নিশ্চিত হয়নি ইজরায়েলের বাহিনী। ডিএনএ পরীক্ষা করে তবেই তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হামাসের পলিটব্যুরো চিফ ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মৃত্যুর পর হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কী অবস্থায় সিনওয়ারকে পড়ে থাকতে দেখা যায়, কীভাবে মৃত্যু নিশ্চিত করা হল, সামনে এল সেই তথ্য।
জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর ৮২৮ ব্রিগেড অভিযান চালাচ্ছিল তেল আল সুলতান নামে একটি অঞ্চলে। সেই অভিযান চালানোর সময়েই তাঁরা দেখতে পায় সিনওয়ারের দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে দেহের আঙুল কেটে নেওয়া হয়। এক গোপন ডেরা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।
প্রায় দু’দশক ধরে ইজরায়েলের জেলে বন্দি ছিলেন সিনওয়ার। ২০১১ সালে ছাড়া পান তিনি। ইজরায়েলের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ফরেনসিক মেডিসিনের চিফ প্যাথোলজিস্ট চেন কাগেল জানিয়েছেন, সিনওয়ার জেলে থাকাকালীন তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে প্রোফাইল ছিল, তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় কাটা আঙুলের প্রোফাইল। তবেই ইজরায়েল নিশ্চিত হয়।
জানা গিয়েছে, দাঁতও ভেঙে নেওয়া হয়েছিল। ভাঙা দাঁত দিয়ে ডিএনএ মেলানোর চেষ্টা করেছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না বলে জানিয়েছেন ওই প্যাথোলজিস্ট। সিনওয়ারের দেহ উদ্ধারের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সিনওয়ারের বাঁ হাতের তর্জনী কেটে দাঁড়িয়ে আছে দুই সেনা। তাঁকে মাথায় গুলি করে মারা হয়েছে বলেও উঠে এসেছে ফরেনসিক রিপোর্টে।