Israel Strikes in Gaza: রমজানে লাল আকাশ, আমেরিকার ‘পরামর্শে’ যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ‘মৃত্যু পাঠাল’ ইজ়রায়েল, হামলায় শেষ ‘শতাধিক’
Israel Strikes in Gaza: তবে এই হামলার পরেও কিন্তু দমেনি হামাসবাহিনী। ইতিমধ্যে, তাদের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাদের দাবি, 'এই হামলার পর গাজায় পণবন্দি ৫৯ জনের জীবন আরও অনিশ্চয়তাপূর্ণ হয়ে গেল।'

গাজা: শুরু হয়েছে রমজান মাস। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজায় দেখা দিয়েছে রমজানের চাঁদ। তাই হাজার কষ্ট সরিয়ে রেখে পবিত্র মাসে একটু উৎসবে মন মাতিয়েছিলেন তারাও। ইতিমধ্য়ে, সমাজমাধ্য়মজুড়ে বেশ ভাইরাল হয়েছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার ইফতার পালনের ছবি।
কিন্তু ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কি আদৌ শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়? হয় তো যায় না। তাই তো আবার প্রতিশ্রুতি ভেঙে রমজান মাসেই গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালাল ইজ়রায়েল। জানুয়ারি মাসে যুদ্ধবিরতির পর ইজ়রায়েলের তরফে করা এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। যখন সংঘর্ষ সরিয়ে আবার নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে সেখানকার মানুষরা, যুদ্ধে ধুলোয় মিশে যাওয়া ঘরটাকে আবার তুলে দাঁড় করানোর কথা ভাবছে গাজাবাসী, সেই সময়ই মৃত্যুকে পাঠিয়ে দিল ইজরায়েল।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, এই হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ৮০-এর অধিক। এদিকে গাজার স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০০ জন ছাড়িয়ে গিয়েছে। হামলার পর নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে এই প্রসঙ্গে একটি পোস্টও করে ইজ়রায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (Israel Defense Forces)। তাঁদের দাবি, ‘গাজা স্ট্রিপের হামাস সন্ত্রাসবাদী অধ্যুষিত এলাকায় একাধিক হামলা চালানো হয়েছে IDF তরফে।’
In accordance with the political echelon, the IDF and ISA are currently conducting extensive strikes on terror targets belonging to the Hamas terrorist organization in the Gaza Strip. pic.twitter.com/mYZ1WBPVPG
— Israel Defense Forces (@IDF) March 18, 2025
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে নর্দান গাজা, দেইর-আল-বালাহ, খান ইউনিস ও রাফাহ-সহ আরও বেশ কিছু ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা চালায় ইজ়রায়েলি বাহিনী। ট্রাম্পের শাসন ক্ষমতা শুরু থেকে আমেরিকার হস্তক্ষেপে অনেকটাই এগিয়েছিল হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি। গত জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ থেকেই সাময়িক ভাবে বাঁধ টানা হয়েছিল যুদ্ধে। এমনকি, এই সময়কালে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার পণবন্দিদের অদল-বদল করেছিল হামাস ও ইজরায়েল সেনা।
কিন্তু সব কিছু যখন ঠিকই ছিল, তাহলে কেনই বা ফের নতুন করে গাজায় হামলা চালাল ইজরায়েল? এই প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ‘হামাসরা যেমন এক দিকে ইজরায়েলি পণবন্দিদের ছাড়তে চাইছে না, তার পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবগুলিকেও প্রত্যাখ্যান করছে।’
এই হামলার আবার ওয়াশিংটন জানাচ্ছে, ‘ইজরায়েল প্রশাসন গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালানোর আগে আমেরিকার প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে, তাদের থেকে যথাযথ পরামর্শ নেয়। তারপর হামাস অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালায়।’ তবে এই হামলার পরেও কিন্তু দমেনি হামাসবাহিনী। ইতিমধ্যে, তাদের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাদের দাবি, ‘এই হামলার পর গাজায় পণবন্দি ৫৯ জনের জীবন আরও অনিশ্চয়তাপূর্ণ হয়ে গেল।’





