
ওয়াশিংটন: ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। চারদিন কেটে গেলেও থামছে না হামলা-পাল্টা হামলা। রবিবার ইরানের ‘রেভোলিউশনারি গার্ড’-এর গোয়েন্দা প্রধান মহম্মদ কাজেমের মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলের হামলায়। আর এবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর গলায় যে হুঁশিয়ারি শোনা গেল, তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যার কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। সূত্রের খবর, বর্তমানে কোনও এক অজ্ঞাত জায়গায় বাঙ্কারের ভিতর লুকিয়ে আছেন খামেনেই। নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেইকে হত্যা করা হলে এই সংঘাত আর বাড়বে না, বরং সব সংঘাতের শেষ হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু এমনই বক্তব্য রেখেছেন। নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে ইজরায়েল কি সত্যিই খামেনেইকে নিশানা করতে পারে? এর জবাবে নেতানিয়াহুকে বলেন “যা করতে হবে, আমরা তা করছি।” নেতানিয়াহু দাবি করেছেন যে খামেনেই হলেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের মূল। যদি তাঁকে সরানে হয়, তাহলে সংঘাত বন্ধ হয়ে যাবে।
নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে। ইজরায়েল কি সত্যিই খামেনেইকে নিশানা করতে পারবে? যদি এটা ঘটে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে বড় আকারের যুদ্ধের সূচনা হতে পারে। আমেরিকা, রাশিয়া এবং অন্যান্য মুসলিম দেশও ততে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খামেনেই ইরানের রাজনীতি এবং সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা। তাঁর উপর আক্রমণ হলে পুরো ইরানের শাসনব্যবস্থার উপর সরাসরি আক্রমণ হিসেবে গণ্য হবে। ফলে নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যকে ইরান সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে নিতে পারে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।