Bangladesh interim government: বিদায়ের আগে কী করতে চায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার? স্পষ্ট করলেন ইউনুসের প্রেস সচিব
Bangladesh interim government: শফিকুল আলম বলেন, "আগামী ৩১ ডিসেম্বর সংস্কার কমিশনগুলি প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপরে আমরা সবাই মিলে আলোচনা করব। রাষ্ট্র মেরামত না করেই যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলে যায়, তাহলে এই প্রজন্ম আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।"
ঢাকা: রাষ্ট্রের যাবতীয় সংস্কার না করে ক্ষমতা ছাড়লে এই প্রজন্ম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। বললেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার (৩০ নভেম্বর) এনডিএম আয়োজিত মহাখালির ব্র্যাক সেন্টারে রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরের একটা আন্দোলন আমাদের এ জায়গায় নিয়ে এসেছে। বর্তমান অস্থিরতার মধ্যেই দাঁড়িয়ে আমরা সংস্কারের কথা বলছি। কেমন বাংলাদেশ চাই, তা নিয়ে এখন যে তর্ক চলছে আমরা সেটাই চেয়েছিলাম।”
গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর গত ৮ অগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নেন মহম্মদ ইউনুস। সেই সরকারের সাড়ে তিন মাস কাটার পর প্রশ্ন উঠছে, কবে নির্বাচন হবে বাংলাদেশে? এই পরিস্থিতিতে এদিনের আলোচনা সভায় শফিকুল আলম বলেন, “আগামী ৩১ ডিসেম্বর সংস্কার কমিশনগুলি প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপরে আমরা সবাই মিলে আলোচনা করব। রাষ্ট্র মেরামত না করেই যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলে যায়, তাহলে এই প্রজন্ম আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।” এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “প্রথম ধাপে এনডিএমের দেওয়া ৯টি সংস্কার খুবই জরুরি। এনডিএমের কোনও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কখনও ফ্যাসিজম হবে না। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে বেশি জরুরি।”
এদিনের আলোচনায় আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক শহিদুল আলম বলেন, “প্রস্তাব দেওয়ায় কোনও সমস্যা নেই। তবে প্রয়োগে সমস্যা রয়েছে।” বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। রাষ্ট্র সংস্কার হওয়ার পরও সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। যেন ফ্যাসিস্ট ফিরে আসতে না পারে। রাজনীতি নষ্ট করেছে জাতীয় পার্টি। নেতাদের বিক্রি করেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে কোনওভাবেই সুযোগ দেওয়া যাবে না।”