‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না, প্লিজ…’, জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি উসকে ফের পুলিশের হাতে মৃত্যু কৃষ্ণাঙ্গের

Racism: পুলিশ অফিসাররা টেনে হিঁচড়ে তাঁকে মাটিতে ফেলে এবং হ্যান্ডকাফ পরায়। এক পুলিশ অফিসারকে তাঁর ঘাড়ের উপরে পা দিয়ে চাপা দিতেও দেখা যায়। ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি ক্রমাগত বলে যাচ্ছিলেন, "আমি শ্বাস নিতে পারছি না...আমার ঘাড় থেকে পা সরাও..."।

'আমি শ্বাস নিতে পারছি না, প্লিজ...', জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি উসকে ফের পুলিশের হাতে মৃত্যু কৃষ্ণাঙ্গের
এভাবেই পুলিশ চাপা দিচ্ছিল ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Apr 27, 2024 | 7:52 AM

ওহাইয়ো: এ যেন ঠিক জর্জ ফ্লয়েড! কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার অপরাধে ২০২০ সালে যেভাবে পুলিশের পায়ের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল জর্জ ফ্লয়েডের, ঠিক সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল আবার। ফের মার্কিন মুলুকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার কৃষ্ণাঙ্গ। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পরই মৃত্যু হল এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির। মৃত্যুর আগে পুলিশ যখন তাঁকে জোর করে মাটিতে ফেলে আটকে রেখেছিল এবং হ্যান্ডকাফ পরাচ্ছিল, সেই সময় ওই ব্যক্তিকে বারংবার “আমি শ্বাস নিতে পারছি না” বলতে শোনা যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ওহাইয়োতে। গত ১৮ এপ্রিল একটি পথ দুর্ঘটনার তদন্তে গিয়েই ফ্রাঙ্ক টাইসন (৫৩) নামক এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। হেফাজতেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ক্যান্টন পুলিশ বিভাগের তরফে এই বিষয়ে এখনও অবধি কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও, একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে যেটা কোনও এক পুলিশ অফিসারের বডি ক্যাম (পুলিশের পোশাকে যে ক্য়ামেরা লাগানো থাকে) ফুটেজ। দেখা যাচ্ছে, একটি গাড়ি ইলেকট্রিক পোলে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পুলিশ এলে পথচলতি মানুষ জানায়, গাড়ির চালক পালিয়ে গিয়েছে।

তদন্ত করতেই উল্টোদিকের বারে ঢোকে পুলিশ। সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন ফ্রাঙ্ক টাইসন। পুলিশ তাঁর হাত ধরার চেষ্টা করতেই বচসা বেঁধে যায়। ধস্তাধস্তির মাঝে টাইসনকে চিৎকার করতে শোনা যায় যে তিনি বলছেন, “ওরা আমায় মেরে ফেলবে। শেরিফকে ফোন করো কেউ।”

পুলিশ অফিসাররা টেনে হিঁচড়ে তাঁকে মাটিতে ফেলে এবং হ্যান্ডকাফ পরায়। এক পুলিশ অফিসারকে তাঁর ঘাড়ের উপরে পা দিয়ে চাপা দিতেও দেখা যায়। ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি ক্রমাগত বলে যাচ্ছিলেন, “আমি শ্বাস নিতে পারছি না…আমার ঘাড় থেকে পা সরাও…”। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার তাঁর কথায় গুরুত্বও দেয়নি। পা সরাতেই দেখা যায় নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছেন টাইসন। এভাবেই ৬ মিনিট মাটিতে পড়ে থাকেন টাইসন, পুলিশ কর্মীরা তখন অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত।

এরপরে এক পুলিশ অফিসার হ্যান্ডকাফ খুলে সিপিআর দিতে শুরু করে। প্যারামেডিকরা এসে টাইসনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পুলিশ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।