
নয়াদিল্লি: মেয়েদের নিয়ে ‘ব্রিগেড’ গড়ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজ়হার। অপারেশন সিঁদুরের ক্ষত ধীরে ধীরে যেন ‘সারিয়ে’ ফেলেছে এই জঙ্গি। বাড়িয়েছে তৎপরতা। ভারতেও চেষ্টা চালাচ্ছে তার নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধারের। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরাবর নিজের জঙ্গি সংগঠনে মেয়েদের নিষিদ্ধ রাখা মাসুদ, এবার দ্বারস্থ হয়েছে মেয়েদের কাছেই।
বুধবার বাহাওয়ালপুর থেকে নতুন বাহিনী সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের তরফে। ‘জামাত-উল-মোমিনাত’ নামে মেয়েদের ব্রিগেড গঠন করছে মাসুদ আজ়হার। বলে রাখা ভাল, অপারেশন সিঁদুরের সময় বাহাওয়ালপুরেই জইশদের মূল ঘাঁটি ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। আর বুধবারের ঘোষণাপর্বে সেই ক্ষতিগ্রস্থ সদর দফতর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে বাহাওয়ালপুরের অন্য একটি জায়গায় প্রথম মহিলা বাহিনী তৈরির কথা ঘোষণা করল মাসুদ। তা হলে এটা কি ভারতকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ?
অবশ্য় এই নতুন বাহিনীর প্রধানের পদে মাসুদ বসছে না। মেয়েদের প্রধান হিসাবে রাখা হচ্ছে এক কুখ্যাত মহিলা জঙ্গিকে। সম্পর্কে যে আবার মাসুদের বোন। নাম সাদিয়া আজ়হার। সম্প্রতি, সিঁদুর অভিযানের সময় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতে নিজের জঙ্গি স্বামীকে হারিয়েছে সাদিয়া। তারপরই এই মহিলা বাহিনী তৈরি, গোটা ব্যাপারটাই কি তার বুদ্ধিতে? সেই উত্তর জানা নেই। পাশাপাশি, মাসুদের সংগঠনে যে সকল কমান্ডাররা রয়েছেন, তাদের স্ত্রীদেরই এই নতুন মহিলা বাহিনীর কমান্ডর করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উপত্যকাকে ‘অশান্ত করার’ স্বপ্ন দেখা এখনও বন্ধ করেনি মাসুদ। তাই নতুন মহিলা বাহিনী গঠনের পরে সেই উপত্যকাকে কাজে লাগাতে চায় সে। সূত্রের খবর, অনলাইন নানা সাইট, সমাজমাধ্যম, হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপকে ব্যবহার করে ভারতীয় কাশ্মীরের মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করছে মাসুদের তৈরি এই মহিলা বাহিনী। বিস্তার করছে নেটওয়ার্ক।
অপারেশন সিঁদুরের প্রত্যাঘাতের পর থেকেই সংগঠনে নানা বদল ঘটিয়েছে মাসুদ আজ়হার। গোটা দুনিয়ার সামনে তার জঙ্গি তৈরির কারখানা প্র্রকাশ্যে এনেছে নয়াদিল্লি। যা সহ্য হয়নি মাসুদের। তাই জইশ-ই-মহম্মদের সদর ঘাঁটি পরিবর্তন করে ফেলেছে সে। আর বাহালওয়ালপুর নয়। ঠিকানা বদল করে খাইবার পখতুনে তৈরি হয়েছে নতুন ঘাঁটি। এটাই নাকি এখন মাসুদের স্থায়ী ঠিকানা।