Mexico: মেক্সিকোর ‘ভিনগ্রহী’ মমির পেটে ডিম? ফরেন্সিক পরীক্ষায় বাড়ল রহস্য
Mexico Alien bodies: ভিনগ্রহী বলে দাবি করা দেহদুটির একটির পেটে নাকি রয়েছে ডিম! তার পেটের ভিতরে বড় বড় ফোলা কিছু অংশ রয়েছে। সেগুলি ডিম বলেই মনে করছেন গবেষকরা। বেনিতেজ বলেছেন, "আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই দেহগুলির সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই।"
নয়া দিল্লি: মহাবিশ্বে আমরা কি একা? এই প্রশ্ন যুগে যুগে খুঁচিয়েছে মানুষকে। মহাবিশ্বের বিশাল ব্যপ্তি এবং তাতে মহাজাগতিক বস্তু থাকায়, ভিনগ্রহী প্রাণী থাকা মোটেই অসম্ভব নয় বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তবে, এখনও অবধি তাদের কারও সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ ঘটেনি। এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যাতে নিশ্চিতভাবে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়। তবে, সম্প্রতি সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছেন মেক্সিকান বিজ্ঞানীরা। গত সপ্তাহে, সেই দেশের সংসদে দুটি মমিকৃত দেহ হাজির করে তাঁরা দাবি করেছেন, সেগুলির সঙ্গে মানুষ বা আমাদের পৃথিবীর কোনও ডিএনএগত সাদৃশ্য নেই। সেগুলি সম্ভবত ভিনগ্রহী। এবার জানা গেল আরও আশ্চর্যজনক এক তথ্য, ভিনগ্রহী বলে দাবি করা দেহদুটির একটির পেটে নাকি রয়েছে ডিম!
ভিনগ্রহীর পেটে ডিম – শুনতে যতই অবিশ্বাস্য লাগুক, এমনটাই দাবি করছেন মেক্সিকান নৌবাহিনীর ফরেনসিক ডাক্তার হোসে দে হেসুস জালসে বেনিতেজ। গত সপ্তাহে দেহগুলি সংসদে হাজির করার পর, সেগুলি তাঁর নেতৃত্বেই পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দেহগুলিতে বা সেগুলির করোটিতে কোনও কারসাজি করা হয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, দেহগুলি ভুয়ো নয়। কেউ সস্তা প্রচার পাওয়ার জন্য দেহগুলি তৈরি করেনি। অবশ্য, আগেই মেক্সিকো ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের কার্বন ডেটিং পরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছিল দেহগুলি অন্তত ১০০০ বছরের পুরনো।
নৌবাহিনীর ফরেনসিক ডাক্তার, বেনিতেজ আরও দাবি জানিয়েছেন, অন্তত একজন পৃথিবীর বুকে জীবিত ছিল। সে পুরোপুরি অক্ষত ছিল, এবং গর্ভাবস্থায় ছিল। তাঁর মতে, দেহটি সম্ভবত স্ত্রীলিঙ্গের। কারণ, তার পেটের ভিতরে বড় বড় ফোলা কিছু অংশ রয়েছে। সেগুলি ডিম বলেই মনে করছেন গবেষকরা। বেনিতেজ বলেছেন, “আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই দেহগুলির সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই।”
দীর্ঘদিন ধরেই ভিনগ্রহী, অজানা উড়ন্ত বস্তুর খোঁজ করতেন মেক্সিকান সাংবাদিক হাইমে মাউসন। ২০১৭ সালে পেরুর নাজগা লাইনের কাছ থেকে ওই দেহগুলি আবিষ্কার করেছিল তাঁর দল। ছোট আকারের মমিদুটির প্রতিটির হাতে তিনটি কররে আঙ্গুল রয়েছে। করোটির সঙ্গে মানুষের বা পৃথিবীর কোনও প্রাণীর মিল নেই। ক্রমে সেই দেহদুটি ঘিরে ঘন হচ্ছে রহস্য। সত্যিই কি তাহলে অতীতে কখনও পৃথিবীতে পাড়ি দিয়েছিল কোনও দূর গ্রহের প্রাণী?