
নয়াদিল্লি: দু’দিনের জন্য মার্কিন ভূমে সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফ্রান্স হয়েই সেদেশে পা দিয়েছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন মসনদ পুনরুদ্ধারের পর এই প্রথমবার সেদেশে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতীয় সময় অনুযায়ী, আজ রাতেই হয়তো টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। একান্ত বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও।
কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে?
মোদী-ট্রাম্পের বৈঠকে একদম উপরেই রয়েছে শুল্ক আলোচনা। বিশ্ব বাজারে বরাবর ভারতকে শুল্কের রাজার তকমা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু, সেই সব এখন অতীত। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় বাজেটেই বিশেষ করে আমেরিকান মোটরসাইকেলে শুল্ক কমিয়েছে ভারত। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই ‘সমঝোতা’কেই হাতিয়ার করেছেন মোদী, দাবি বিশেষজ্ঞদের।
কিন্তু অপরদিকে, ক্ষমতায় আসতেই একাধিক দেশের পণ্যের উপর বাড়তি শুল্কের বোঝা চাপিয়েছে ট্রাম্প। শুল্ক বাড়ানো হয়েছে লৌহ পণ্যেও। যার জেরে চাপ পড়েছে ভারতীয় বাজারেও। সেই চাপের কথা মাথায় রেখেই ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন মোদী, এমনটাই অনুমান একাংশের।
আলোচনা হতে পারে প্রতিরক্ষা নিয়েও। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়ে দুই দেশের প্রতিরক্ষা, সামরিক কৌশল, সরঞ্জাম-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন রাজনাথ সিংহ। দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মধ্যে হওয়া সেই টেলিফোনিক আলোচনা যে প্রভাব ফেলতে পারে মোদী-ট্রাম্পের বৈঠকেও, মত ওয়াকিবহাল মহলের।
মোদী-ট্রাম্পের বৈঠকে জায়গা পেতে পারে পারমাণবিক প্রযুক্তিও। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঠাঁই পেতে পারে পারমাণবিক প্রযুক্তির আলোচনাও। তিনি জানাচ্ছেন, সম্প্রতি দেশের পারমাণবিক আইনে আনা বদলগুলির মাধ্যমে কিছু মার্কিন সংস্থা এ দেশে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করা যেতে পারে। আর সেই নিয়েই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বার্তা সারবেন প্রধানমন্ত্রী।