Muhammad Yunus: ‘ইউনূসের গ্রামীণ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগ রয়েছে আল কায়েদার’, সামনে এল বিস্ফোরক রিপোর্ট
Muhammad Yunus grameen network: বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক শুরুর জন্য বিশ্বজুড়ে বন্দিত হয়েছেন ইউনূস। কিন্তু, সেই গ্রামীণ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যে জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে, সেই তথ্য সামনে এসেছে বলে ওই সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। ২০২৩ সালের মার্চে CIA-র তথ্যের ভিত্তিতে একটি তালিকা প্রকাশ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। যে তালিকায় লাদেন ও আল কায়েদাকে অর্থ সাহায্যকারীদের নাম প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁর পরিচিতি গ্রামীণ নেটওয়ার্কের হাত ধরেই। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পান। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল। বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করল। যে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গ্রামীণ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগ রয়েছে আল কায়েদার।
কী বলা হয়েছে বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে?
বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যমের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রামীণ নেটওয়ার্কে এমন ব্যক্তিরা বিনিয়োগ করেছেন, যাঁরা ওসামা বিন লাদেন ও আল কায়েদা নেটওয়ার্ককে আর্থিক সাহায্য করেছেন। পশ্চিমী তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই তথ্য জানিয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ প্রকাশিত CIA-র নথির উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক শুরুর জন্য বিশ্বজুড়ে বন্দিত হয়েছেন ইউনূস। কিন্তু, সেই গ্রামীণ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যে জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে, সেই তথ্য সামনে এসেছে বলে ওই সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। ২০২৩ সালের মার্চে CIA-র তথ্যের ভিত্তিতে একটি তালিকা প্রকাশ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। যে তালিকায় লাদেন ও আল কায়েদাকে অর্থ সাহায্যকারীদের নাম প্রকাশ করা হয়।
ওই তালিকায় নাম রয়েছে সৌদি আরবের ব্যবসায়ী মহম্মদ আব্দুল লতিফ জামিলের।জামিল টাকা ঢালতেন ৯/১১-র মাস্টারমাইন্ড লাদেনের আল কায়েদায়। আবার লতিফ-ই ইউনূসের গ্রামীণ মাইক্রোফিন্যান্স সংস্থার বোর্ড মেম্বার। গ্রামীণ-জামিল মাইক্রোফিন্যান্সের নামে ইউনূসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করেন। তুরস্কেও এই সংস্থার ব্যবসা রয়েছে। যার সদর দফতর দুবাইয়ে। সংস্থার আর এক কর্তা ইউসুফ জামিলের নাম জড়িয়েছে কুখ্যাত ‘এপস্টাইন’ কেলেঙ্কারিতেও। বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যমে রিপোর্টে গ্রামীণ নেটওয়ার্কের ব্যবসায় একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশেও গ্রামীণ ব্যাঙ্কের আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু হয়। পরে হিলারি ক্লিন্টনের কূটনৈতিক চাপে তদন্ত বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। হিলারির সঙ্গে ইউনূসের গোপন আঁতাতের উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানব অঙ্গ পাচার চক্রেরও ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ঋণ মেটাতে না পারলে অঙ্গ বিক্রি করতেও হত বলে অভিযোগ। যদিও ইউনূস কিংবা তাঁর দফতরের তরফে এখনও এই অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ওই সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থার তদন্ত দাবি করেছেন।
