
কাঠমান্ডু: নেপাল ফিরছে মূলস্রোতে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই হাতেগোনা যে কয়েকজন নেতা-মন্ত্রী রয়েছেন, তারাও লেগে পড়েছেন পদ বাঁচানোর কাজে। দ্বারস্থ হয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে। কিন্তু কীভাবে পদ বাঁচাতে চান তারা? ভেঙে ফেলা সংসদ পুনর্বহালই এখন তাঁদের লক্ষ্য।
আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্টার বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেদেশের রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্য়েই রাষ্ট্রপতির কাছে দ্বারস্থ হয়ে প্রতিবাদ-আন্দোলনের কারণে ভেঙে ফেলা সংসদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। সেদেশের মূল ৮টি রাজনৈতিক দল-সহ নেপালি কংগ্রেস, সিপিএন-ইউএমএল এবং মাওবাদী সেন্টার রাষ্ট্রপতির কাছে এই আবেদন জানায়। শনিবার রাতেই সংশ্লিষ্ট দলগুলির মুখ্য সচেতকরা একটি দাবিপত্রে স্বাক্ষর করে তা জমা দিয়ে এসেছেন।
কিন্তু ভেঙে ফেলা সংসদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েও বিশেষ লাভ হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, ইতিমধ্যেই নেপালের জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছেন সদ্যনিযুক্ত মহিলা প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৫ই মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নেপালে। মাঝে এই ছয় মাস দেশের সরকার চালাবেন সুশীলা।
গত ৮ই সেপ্টেম্বর নেপালের সংসদ ভবনের দখল নেন তরুণ আন্দোলনকারীরা। ৭ই সেপ্টেম্বর সর্বপ্রথম চড়ে আন্দোলনের মাত্রা। সেদিনও সংসদ ভবনের দিকে অভিযান চালায় তরুণ আন্দোলনকারীরা। পুলিশি বাধার সামনে থমকে দাঁড়াতে হয় তাঁদের। অবশ্য, সেই একদিনের প্রতিবাদেই টালমাটাল হয়ে উঠেছিল নেপালের সরকার। আর দিন পেরতেই পড়ল সরকার। তারপর তরুণ আন্দোলনকারীদের সুপারিশেই নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সুশীলা কারকিকে।