
ওয়াশিংটন: যুদ্ধ পরিস্থিতি গত কয়েকদিন ধরেই বহাল আছে। রাত বাড়লেই অন্ধকার চিরে মিসাইলের আগুন চোখে পড়ছে। সাইরেনের শব্দে কেঁপে উঠছে শহর। চারদিন কেটে যাওয়ার পরও পরিস্থিতি বদলাল না ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরান ফাঁকা করার বার্তা দিয়েছেন। আর তারপরই তেলের বাজারে আলোড়ন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই বিবৃতির পরই মঙ্গলবার এশিয়ার বাজারে প্রাথমিক লেনদেনের সময় তেলের দাম প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তাঁর বক্তব্য কার্যত ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলা উত্তেজনা প্রশমনের সব আশাই শেষ করে দিয়েছে। ফলে বাজারে অনিশ্চয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাম্পের এই আবেদন ভারতের বাজারকেও প্রভাবিত করবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ তেলের দাম বাড়লে ভারতের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়তে পারে।
ইরানে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর থেকেই তেলের দাম নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষত আমদানিকারী দেশগুলির মধ্যে উপরের দিকে রয়েছে ভারত। ফলে তেলের দাম বাড়লে প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তেলের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে ভারতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়তে পারে। ফলে পরিবহনের খরচ বাড়বে, মূল্যবৃদ্ধি বড় আকার নেবে। সাধারণ মানুষের পকেটের উপর বোঝা বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইজরায়েল হামলা চালানোর চারদিন পর আজ মঙ্গলবার ট্রাম্প বার্তা দিয়েছেন, অবিলম্বে যেন সবাই তেহরান ছেড়ে চলে যান। এরপরই আশঙ্কা বেড়েছে, তবে কি এবার আরও বড় কোনও হামলার পরিকল্পনা করছে ইজরায়েল?