
ঢাকা: অশান্তির আবহে নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাস থেকে ফোন গেল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। তারপরই ট্রাম্পের প্রতিনিধির কাছে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিজের প্রত্যাশার ঝুলি খুলে বসলেন প্রধান উপদেষ্টা। তির বিঁধলেন প্রায় দেড় বছর আগে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের দিকেও।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্য়ম ‘দ্য ডেইলি স্টার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্য়া সাড়ে ৭টা নাগাদ (বাংলাদেশের সময়) দক্ষিণ এবং মধ্য় এশিয়ায় আমেরিকার বিশেষ দূত তথা ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরের সঙ্গে ফোনে কথা হয় মুহাম্মদ ইউনূসের। ওই ফোনালাপেই বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে ‘বিঘ্নিত’ করা হচ্ছে বলেই দাবি করেন ইউনূস। পাশাপাশি, কথা হয়েছে হাদির মৃত্যু নিয়েও।
ইউনূসের দাবি, নির্ধারিত সময়েই অর্থাৎ আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। তাঁর কথায়, ‘সৈরচারী শাসনকালে কেড়ে নেওয়া ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’ গোরের সঙ্গে মোট আধ ঘণ্টা মতো ফোনালাপ চলেছে ইউনূসের। মার্কিন দূতকে ইউনূস জানিয়েছেন, ‘ক্ষমতাচ্য়ুত হাসিনার সরকারের সমর্থকরা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে লক্ষ-কোটি টাকা খরচ করছেন। তাঁদের পলাতক নেতা হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন।’
তবে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুত বলেই সার্জিও গোরকে জানিয়েছেন ইউনূস। তাঁর কথায়, ‘আমাদের হাতে ৫০ দিন মতো রয়েছে। আমরা সবাইকে দেখিয়ে দেব, বাংলাদেশে কীভাবে স্বচ্ছ নির্বাচন করাতে হয়।’ বাংলাদেশে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।