শোধরায়নি পাকিস্তান, এবারও থাকবে ‘দাগি’ হয়েই

২০১৮ সালে পাকিস্তানকে ‘ধূসর’ তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ। সন্ত্রাস দমনে পদক্ষেপ করতে দেওয়া হয় এক বছর সময়। ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত টাস্ক ফোর্সের দেওয়া সেই পদক্ষেপ কার্যকর করতে পারেনি পাকিস্তান।

শোধরায়নি পাকিস্তান, এবারও থাকবে ‘দাগি’ হয়েই
‘ধূসর তালিকা’ থেকে বের হতে পাকিস্তানের চাই ১২টি ভোট। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ইমরানের দেশকে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে চিন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া।
Follow Us:
| Updated on: Oct 27, 2020 | 12:01 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: আগামী বুধবার আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ভার্চুয়াল বৈঠক। যেখানে আলোচনার অন্যতম মূল বিষয় হতে চলেছে পাকিস্তান। এফএটিএফ-এর ‘ধূসর তালিকা’-তেই থাকবে ইমরানের দেশ, নাকি উঠে যাবে ‘দাগি তকমা’? কালো তালিকাভুক্ত না হলেও ভারত আশাবাদী, পাকিস্তান এবারও এফএটিএফ-এর ‘ধূসর তালিকা’-তেই থাকবে।

ভারত সরকারের এক উচ্চ পদস্থ আমলার কথায়, সন্ত্রাস দমনে এফএটিএফ পাকিস্তানকে ২৭টি পদক্ষেপ করার কথা বলে। কিন্তু পাকিস্তান সেগুলোর মধ্যে স্রেফ ২১টি-ই কার্যকর করতে পেরেছে। ভারত মনে করছে বাকি ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কার্যকর না করতে পারায় ইমরান খানের দেশকে ‘ধূসর তালিকা’-তেই রাখবে এফএটিএফ। আর তা হলে, করোনার মতো অতিমারির সময় আরও বিপাকে পড়তে হবে ইসলামাবাদে। ‘দাগি’ দেশের তকমার কারণে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ), ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি), ইউরোপিয়ান ব্যাঙ্কের থেকে কোনও অর্থ সাহায্য পাবে না।

আগামী বুধবার থেকে তিন দিন ব্যাপী যে ভার্চুয়াল বৈঠক হবে, সেখানে এফএটিএফ দেখবে, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান আদৌ কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা। নিয়ে থাকলেও তা কতটা কার্যকর হয়েছে। এদিকে ভারতের পক্ষ থেকেও পাকিস্তানকে ‘ধূসর’ তালিকায় রেখে দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করা হবে বলে মত ওয়াকিবহল মহলের একাংশের।

সম্প্রতি পাকিস্তানের নথি থেকে ৪ হাজার সন্ত্রাসীর তথ্য উধাও হওয়ার ঘটনাকে সামনে এনেছে ভারত। একই সঙ্গে ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ এবং ২৬/১১-র মুম্বই হামলা, পুলওয়ামায় নাশকতার মতো ঘটনায় জড়িত থাকা মোস্ট ওয়ান্টেড মৌলানা মাসুদ আজহার ও হাফিজ সইদকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়েছে। শুধু ভারতই নয়, পাকিস্তানের কার্যকলাপে খুশি নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানিও।

কেন্দ্রের শীর্ষ আমলার কথায়, জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অর্থ সাহায্য এবং সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ যে পদক্ষেপ করার কথা বলছে, তাতে খুশি নয় এফএটিএফ। ২১ থেকে ২৩ অক্টোবরের ভার্চুয়াল বৈঠকে পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ পদক্ষেপের বিষয়ে পর্যালোচনা করবে টাস্ক ফোর্স।

‘ধূসর তালিকা’ থেকে বের হতে পাকিস্তানের চাই ১২টি ভোট। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ইমরানের দেশকে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে চিন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া। এই মুহূর্তে এফএটিএফ-এর কালো তালিকায় রয়েছে উত্তর কোরিয় ও ইরান।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পাকিস্তানকে ‘ধূসর’ তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ। সন্ত্রাস দমনে পদক্ষেপ করতে দেওয়া হয় এক বছর সময়। ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত টাস্ক ফোর্সের দেওয়া সেই পদক্ষেপ কার্যকর করতে পারেনি পাকিস্তান। এবারও কি বিফল হবে ইমরানের দেশ? উত্তর মিলবে শীঘ্রই।