Bangladeshi MP murder case: বাংলাদেশি সাংসদ খুনে মহিলা যোগ, পার্টিও দিয়েছিল শাহীন

Rajib Khan | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

May 23, 2024 | 8:41 PM

Bangladeshi MP murder case: কলকাতায় এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশি সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারকে। তদন্তে জানা গিয়েছে খুনের পর পার্টি দিয়েছিল শাহীন। এদিক এই ঘটনায় এক মহিলাকেও খুঁজছে পুলিশ।

Bangladeshi MP murder case: বাংলাদেশি সাংসদ খুনে মহিলা যোগ, পার্টিও দিয়েছিল শাহীন
বাংলাদেশি সাংসদ খুনে খোঁজ চলছে এক মহিলার
Image Credit source: Twitter

Follow Us

ঢাকা: কলকাতায় এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশি সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারকে। ছোটবেলার বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহীনের ষড়যন্ত্রে কলকাতার নিউটাউনের এক ফ্ল্যাটে তাঁকে খুন করা হয়। শুধু তাই নয়, তদন্তে জানা গিয়েছে খুনের পর পার্টি দিয়েছিল শাহীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট আছে তার। ঠিকাদারি ব্যবসা আছে। বাংলাদেশে কয়েকশো কোটি টাকার কাজ করছে তার সংস্থা। খুনের পর সে বাংলাদেশে ফিরেছিল। কিন্তু, খুনিকে চিহ্নিত করার আগেই সে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছে সে। ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় তার একটি বাড়িও আছে। সেই বাড়ি থেকে শাহীনের একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছে বাংলাদেশি পুলিশ। কী ছিল সেই ডায়েরিতে?

বাংলাদেশি পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার জন্য কয়েকজন ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করেছিল শাহীন। ওই ডায়েরিতে হত্যাকারীদের কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সেই হিসাবও আছে। জানা গিয়েছে, সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের জন্য পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে। একাধিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হত্যার পর ঢাকায় ফিরে, বসুন্ধরা ওই বাড়িতে একটি পার্টি দিয়েছিলেন শাহীন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি পুলিশ। ভারতেও দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

কীভাবে খুন করা হয়েছিল?

বাংলাদেশি পুলিশ জানিয়েছে, ১২ মে আনোয়ারুল আজীম ভারতে যাবেন, তা আগেই জানত শাহীন। সেই মতো সে আজীমকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। ভারতে এসে আজীম তাঁর এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন। ১৩ মে, ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে একটি সাদা গাড়িতে উঠেছিলেন আজীম। ওই গাড়িতে বাংলাদেশি সাংসদ, গাড়িটির চালক-সহ মোট তিনজন ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর ওই গাড়ি থেকে নেমে, লাল রঙের আরেকটি গাড়িতে উঠেছিলেন আজীম। সেই গাড়িতেই ছিলেন শাহীনের বেয়াই সৈয়দ আমানুল্লাহ। তিনি সাংসদের পূর্বপরিচিত।

সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে, ১৩ মে দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ লাল গাড়িটি নিউ টাউনের সঞ্জীবনী গার্ডেনে ঢুকেছিল। আমানুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি পুলিশ। সে জানিয়েছে, কৌশলে সাংসদকে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ছুরি দেখিয়ে বন্দি করা হয়। শাহীনের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য কড়া ভাষায় ধমক দেওয়া হয়। এই নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এর পর্যায়ে আজীমকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। বিকেল ৫টা ১১ মিনিট নাগাদ, সাংসদের জুতো ও পলিথিনের দুটি বড় ব্যাগ হাতে নিয়ে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন আমানুল্লাহ ও হত্যাকাণ্ডে যুক্ত আরেকজন।

সাংসদ খুনে মহিলা যোগ

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ১৩ মে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে নিহত সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে তিনজন ওই ফ্ল্যাটে ঢুকেছিলেন। তাদের মধ্যে একজন মহিলা ছিলেন। ওই মহিলা কে, তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে ওই তিনজন আলাদা আলাদাভাবে ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হয়েছিলেন। একজন বেরিয়েছিলেন ১৫ মে, একজন ১৬ মে, অপরজন ১৭ মে ফ্ল্যাটটি থেকে বের হয়েছিলেন। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যার বিষয়ে অনেক তথ্যই তাদের হাতে এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কিছু প্রকাশ্যে বলা যাচ্ছে না।

Next Article