
নয়াদিল্লি: তিনি মোদীর সঙ্গেই যাবেন। সোমবার SCO সম্মেলন থেকে রিটজ়-কার্লটন হোটেলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য একই গাড়িতে সওয়ার হয়ে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। গাড়িতেই ৪৫ মিনিট কথা হল তাদের। তারপর সরাসরি হোটেল রুমে ঢুকে চলল দ্বিপাক্ষিক আলোচনা।
একদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাড়াচ্ছেন আক্রমণের তীব্রতা, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে ভারতের দিকে শুল্কের বন্দুক তাক করেছেন তিনি। ইতিমধ্য়ে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন। এবার দল ভারী করতে সেই একই পথে টানছেন ইউরোপের দেশগুলিকেও। আর এই আবহে মোদী-পুতিন বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
কী নিয়ে আলোচনা হল?
জানা গিয়েছে, দুই দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য সব কিছু নিয়েই আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। আলোচনা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো নিয়েও। নিজের সমাজমাধ্যমে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “আঞ্চলিক ও বিশ্বজুড়ে চলা নানা ইস্যুতেই আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। আলোচনা হয়েছে ইউক্রেন নিয়েও। পাশাপাশি সম্প্রতি সংঘাত থামাতে নেওয়া উদ্যোগগুলি নিয়েও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।”
তবে এতদিন যখন রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের জন্য ভারতকেও দায়ী করেছেন সেই আবহে, রুশ প্রেসিডেন্ট উস্কে দিয়েছেন ‘আসল কারণ’। শি জিনপিং ও মোদীর সঙ্গে আলাদা ভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর পুতিনের স্পষ্ট দাবি, রাশিয়ার অদূরে NATO-এর সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে। তা হলেই ইউক্রেনে শান্তি ফিরে আসবে।