
ওয়াশিংটন: শুক্রবার থেকে চড়েছে বিক্ষোভের পারদ। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে ক্রমে বাড়ছে উত্তেজনা। পথে নেমে পড়েছে কাতারে কাতারে মানুষজন। পরিস্থিতি সামাল দিতে হোঁচট খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। তাই আশঙ্কা প্রকাশ করে শনিবারই সেখানে ২ হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু ‘স্বপ্নপূরণের দেশে’ কি নিয়ে গলদ? কেনই বা পথে নামল শতাধিক উত্তেজিত জনতা? বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের নয়া অভিবাসন নীতি ঘিরেই চড়েছে বিক্ষোভ। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের অভিবাসন নীতিতে বড় বড় পরিবর্তন এনেছেন ট্রাম্প। বিতাড়িত করছেন শতাধিক অবৈধ ভাবে বসবাসরত ভারতীয়, মেক্সিক্যান ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে।
এদিন বিক্ষোভের কারণও সেই অভিবাসন সমস্যা। সম্প্রতি ট্রাম্পের জারি করা নয়া অভিবাসন নীতির ভিত্তিতে গোটা লস অ্য়াঞ্জেলেস জুড়ে শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান। শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৪৪ জনকে। তারপরেই শুরু বিক্ষোভ। গ্রেফতারির দিনেই সেখানে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতর ঘেরাও করে সহস্র উত্তেজিত জনতা।
এই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলার বিক্ষোভকারীদের ইঙ্গিতে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে তোপ দাগেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চলা বিদ্রোহ। প্রেসিডেন্ট দেশ থেকে অবৈধ্ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। আর সেই সূত্র ধরেই প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার জনকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের আইনশৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে কিন্তু বেজায় চটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় সরকার। সেখানকার গর্ভনর গেভিন নিউসম জানিয়েছেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল গার্ডদের সরিয়ে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেল সরকার। যা কোথাও গিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উস্কানিমূলক।’