TV9 বাংলা ডিজিটাল : সিরিয়ার(Syria) বাতাসে বারুদের গন্ধ। ঘরে ঘরে শোকমিছিল। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার(Syria War) বুক জুড়ে শুধুই ক্ষত। নিহত প্রায় ৪ লক্ষ। বাস্তুহারা অসংখ্য। কিন্তু, শিকড়ের টান কি ভোলা যায়? মাটি ছেড়েও মাটির গন্ধে জীবন দেখতে এক চিলতে তাঁবু গেঁড়েছেন বছর উনিশের উইসাম দিয়াব। আর সেখানেই গড়ে তুলেছেন আস্ত গ্রন্থাগার(Library)।
যুদ্ধের(Syria War) করাল গ্রাস ইতিমধ্যেই ছিনিয়ে নিয়েছে সুখ। বছর চারেক আগে নিজের দাদাকে হারান দিয়াব। হামা প্রদেশের(Hama) কাফর জিটায় নিজের ভিটে ছেড়ে পালিয়ে আসতে হয় উত্তর ইদলিবের শরণার্থী শিবিরে। পরিবার নিয়ে তাঁবুতেই মাথা গোঁজার চেষ্টায় উঠে পড়ে লাগেন উইসাম। করোনা অতিমারিতে মাস আটেক আগেও এই অস্থায়ী বাসস্থানে টিকে থাকাও দায় হয়েছিল। বাড়ছিল ভিড়। স্থান সঙ্কুলানে বেড়েছিল সংক্রমণের আশঙ্কা। শেষে জলপাইয়ের ক্ষেতে তাঁবু গেড়ে থাকা। বলা ভাল টিকে থাকা।
আরও পড়ুন : এখানে জলেই ‘জীবন’ ফিরে পান দুঃস্থরা, জানকবুল লড়াইয়ে রোগীদের পাশে বাংলাদেশের ‘জীবনতরী’
জীবনের প্রতি অফুরন্ত ভালবাসা। সেই ভালবাসার ফসলে সবুজে ভরেছে দিয়াবের তাঁবুর প্রবেশপথ। গ্রন্থকীট দিয়াবের তাঁবুর ভেতরে রয়েছে একটি আস্ত লাইব্রেরি(Library)। কাফকা(Franz Kafka) থেকে মুরাকামি(Haruki Murakami)। দস্তয়োভস্কি (Dostoevsky) থেকে ম্যাকিয়াভেলি। দেশ-বিদেশের সাহিত্য, ফিকশন, নন-ফিকশন। দিয়াবের কাছে মজুত সবই। বই ছাড়াও একটি উকুকুলে স্বাস্থ্যকর্মী উইসামের সঙ্গী। দাদা না ফিরুক, জীবনের ছন্দ ফিরুক অস্থায়ী তাঁবুতে। ‘একদিন ঝড় থেমে যাবে। পৃথিবী আবার শান্ত হবে।’ এমনটাই স্বপ্ন দেখেন তরুণ তুর্কি উইসান দিয়াব। এভাবেও যে বেঁচে থাকা যায়!