সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ। যার জেরে দেশ ছাড়তে হয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে। এমনকি তাঁর দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরও নানা জল্পনা শুরু হয়। তাঁকে নিয়ে যে বিমান রওনা দিয়েছিল, হঠাৎই ইউ টার্ন নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা অদৃশ্যও হয়ে যায়। বিমানবন্দর থেকেও ট্র্যাক করা যাচ্ছিল না সেই বিমান। এরপরই জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে? তাঁর প্লেন কি ভেঙে পড়েছে? না হলে হঠাৎ এমন ইউ টার্ন কেন! এই প্রশ্নের কিছুটা উত্তর অবশ্য মিলেছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় রয়েছেন। তিনি দেশ ছাড়তেই নানা চিত্র ধরা পড়েছে। বেশ কিছু শহরের উচ্ছ্বাসও। তেমনই কিছু ঘটনাও।
একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠী ভেঙে ফেলেছে একটি মূর্তি। সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের মূর্তি সেটি। শুধু ভেঙে ফেলাই নয়, সেটাকে একটি গাড়ির সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মূর্তির উপর বসে রয়েছেন অনেকেই। তাঁদের কাছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মূর্তি বাহন। উচ্ছ্বাস প্রকাশের একটা ভঙ্গি। এই ভিডিয়োর সঙ্গে কিছুটা যেন মিল রয়েছে বাংলাদেশেরও।
কয়েক মাস আগের ঘটনা। বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারতে। তবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ভাঙচুর সহ আন্দোলন কারীদের এমন কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তিও উপড়ে ফেলা হয়েছিল। প্রয়াত শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার সরকার পড়তেই এমন দৃশ্য। সিরিয়ার দৃশ্যের সঙ্গে এর কিছুটা হলেও মিল খুঁজছেন অনেকেই।
Syrians celebrating in Latakia were filmed riding around on a toppled statue of former president Hafez al-Assad, Bashar’s father, as it was dragged through the streets. pic.twitter.com/C6hsxXndaI
— Al Jazeera English (@AJEnglish) December 8, 2024