
নয়াদিল্লি: ডুরান্ড লাইনে বাড়ছে সংঘর্ষ। সংযম হারিয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। চেপে রাখা ক্ষোভ থেকেই এবার সম্মুখ সমরে নেমেছে ভারতেই এই দুই পড়শি দেশ। কখনও বোমা, কখনও গুলি। প্রতি মুহুর্তে চড়ছে পারদ। আর এই আবহেই এখনও পর্যন্ত ৫৮ জন পাকিস্তানি জওয়ানকে খতম করা হয়েছে বলে দাবি করল তালিবানরা।
রবিবার আফগানিস্তানের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। সেখান থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের উচিত এই দেশের অন্দরে লুকিয়ে থাকা উচ্চ পদমর্যাদাপূর্ণ আইএসআইএস গোয়েন্দাদের আবার ঘরে ফিরিয়ে নেওয়া। শুধু আফগানিস্তানই নয়, তাঁদের আইএসআইএস গোয়েন্দা সংগঠন গোটা বিশ্বের একাধিক দেশের কাছে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।’
বলা যেতে পারে, এই সংঘর্ষের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার থেকে। একে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। তার মধ্যেই সেদিন কাবুলিওয়ালাদের দেশে আকাশপথে প্রথম হামলা চালায় পাকিস্তান। পর পর বোমায় উড়ে যায় কাবুলের বেশ কয়েকটি জায়গা। সেই হামলার কথা যেমন সরাসরি স্বীকার করে নেয়নি পাকিস্তান। তেমনই তাঁদের পড়শি দেশ যে হামলা চালিয়েছে, সেই অভিযোগও করতে দেখা যায়নি তালিবান সরকারকে। ওয়াকিবহাল মহলে মতে, বাকবিতণ্ডা নয়, সরাসরি প্রত্যাঘাত করতে চেয়েছিল কাবুল। যা হল শনিবার। আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী যখন ভারত সফরে সেই ডুরান্ড লাইন থেকে পাকিস্তানে জবাবি হামলা চালাল আফগানিস্তান।
অবশ্য আপাতত সংঘর্ষ স্থগিত হয়েছে বলেই খবর। রবিবার তালিবান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘নিজেদের মাটিকে সুরক্ষিত রাখার পূর্ণ অধিকার আফগানিস্তানের রয়েছে। তবে সৌদি আরব ও কাতারের অনুরোধে ডুরান্ডে লাইনে আপাতত সংঘর্ষ স্থগিত করা হয়েছে।’ অবশ্য, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে তালিবানদের যে কোনও ক্ষতি হয়নি, এমনটা নয়। মুজাহিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে ২০ জন তালিবান জওয়ানের প্রাণ গিয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। অন্যদিকে, তালিবানদের এই আক্রমণ ‘বিনা উস্কানিতেই’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি। তাঁর কথায়, ‘আমাদের সাধারণ নাগরিকদের উপর আফগান সেনা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক নীতি বহির্ভূত।’