Sweden Crime: রোজ রোজ বোমাবাজি, ধর্ষণ! ‘নিরাপদ’ সুইডেন এখন আতঙ্কের আরেক নাম
আতঙ্কের আর এক নাম এখন সুইডেন। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর মালমো-য় আইনের শাসন নেই বলে অভিযোগ। অপরাধের নিরিখে নাকি স্ক্যানডেভিয়ান শহরটি এখন বাগদাদের মতোই ভয়ঙ্কর। অথচ, মিডিয়া বা সরকার- কেউ-ই সেকথা মানছে না। প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ অভিবাসীরা মালমো-সহ সুইডেনের বহু শহরের কার্যত দখল নিয়েছেন। রোজ রোজ দাঙ্গা, গ্যাং-ওয়ার, লুটপাট চলছে। পরিস্থিতি এমনই যে, একদা সুখের ঠিকানা সুইডেন ছেড়ে আজ পরিবার নিয়ে ইউরোপের অন্যত্র বা আমেরিকাতে-ও চলে যাচ্ছেন কেউ কেউ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ইলন মাস্ক নিজের এক্স- হ্যান্ডেলে-ও মার্কিন পর্যটকদের সুইডেনে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে সতর্ক করেছেন।

সুইডেনকে বিশ্বের নিরাপদতম দেশের তালিকায় ধরা হত এতদিন। ছবির মতো সাজানো এই দেশের নাগরিকরা এখন অন্তত ৬০টি এলাকায় সূর্যাস্তের পর যেতে ভয় পান। খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায়। বোমাবাজির আতঙ্কে রাতে ঘুমোতে পারেন না। অন্যতম বড় শহর মালমো এখন নাকি বাগদাদের মতোই ভয়ঙ্কর। গত কয়েক বছরে ধর্ষণ বেড়েছে ২,৩০০ %। গত ২ বছরে বোমাবাজি হয়েছে ৪৫০ বার। দেশে বাক স্বাধীনতা নেই বলেও অভিযোগ উঠছে। সরকারের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় জেলে-ও যেতে হয়েছে ৬৫ বছরের এক মহিলাকে।
দাঙ্গা-ধর্ষণ-বোমাবাজিতে বিধ্বস্ত সুইডেন আতঙ্কের আর এক নাম এখন সুইডেন। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর মালমো-য় আইনের শাসন নেই বলে অভিযোগ। অপরাধের নিরিখে নাকি স্ক্যানডেভিয়ান শহরটি এখন বাগদাদের মতোই ভয়ঙ্কর। অথচ, মিডিয়া বা সরকার- কেউ-ই সেকথা মানছে না। প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ অভিবাসীরা মালমো-সহ সুইডেনের বহু শহরের কার্যত দখল নিয়েছেন। রোজ রোজ দাঙ্গা, গ্যাং-ওয়ার, লুটপাট চলছে। পরিস্থিতি এমনই যে, একদা সুখের ঠিকানা সুইডেন ছেড়ে আজ পরিবার নিয়ে ইউরোপের অন্যত্র বা আমেরিকাতে-ও চলে যাচ্ছেন কেউ কেউ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ইলন মাস্ক নিজের এক্স- হ্যান্ডেলে-ও মার্কিন পর্যটকদের সুইডেনে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে সতর্ক করেছেন। অভিযোগ, গত ৩ বছরে বোমাবাজি বেড়েছে ৫৩০০%। ধৃতদের মধ্যে ৫৪ জনের বয়স ১৫-র নিচে। সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন-ও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, দেশের পরিস্থিতি তাঁর হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজধানী স্টকহোমে চলতি মাসেই এক যুবকের হাত কেটে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সুইডেন পুলিশ ৬৫টি এলাকাকে ‘নো-গো জোন’ বা না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

অপরাধের শীর্ষে মালমো শহর পরিসংখ্যান বলছে সুইডেনের স্টকহোম, গথেনবার্গ ও মালমো — সবচেয়ে বড় তিনটি শহরেই বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে লাফিয়ে। বৃহত্তম তিন শহরের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ-ই ভিনদেশ থেকে এসেছেন। সবচেয়ে দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা বেড়েছে মালমো-তে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অপরাধ-ও। নর্ডিক টাইমস-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, মালমো-য় সবচেয়ে বেশি বোমাবাজি হয় প্রতিদিন। ২০২৩ থেকে রোজ সুইডেনে গড়ে একটি করে বোমা বিস্ফোরণ হয়, বলছে সে দেশের ক্রাইম প্রিভেনশন কাউন্সিল। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য অ্যালিস মাওয়া মালমো-র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে গোটা সুইডেনের লজ্জা বলেও মন্তব্য করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ বছরে এই স্ক্যান্ডেভিয়ান দেশে সাড়ে ৫০০-রও বেশি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। আর শুধু বোমা-ই নয়, প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্তে গুলিও চলছে যেন নিয়ম করে। এক বছরে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধু গুলি চলাতেই। গ্যাং ওয়ার, লুটপাট, ভাঙচুর, বোমাবাজি ও হত্যা-র প্রসঙ্গ উঠেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে-ও।

শহরে ইসলামিক চরমপন্থা বাড়ছে বলে অভিযোগ
গত ফেব্রুয়ারিতেই সুইডিশ সরকার সতর্কবার্তা জারি করে জানিয়েছিল, ইসলামিক চরমপন্থা, মতাদর্শে বিশ্বাসী জঙ্গিদের ‘লোন উল্ফ’ ধাঁচে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। মালমো-র অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই শহরে ১৮৭টি দেশ থেকে আসা মানুষের বাস। যার মধ্যে শুধু ইরাক থেকেই এসেছেন ১২ হাজারেরও বেশি অভিবাসী। এছাড়াও সিরিয়া, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড, বসনিয়া, আফগানিস্তান, লেবানন ও ইরাকের অভিবাসীরাও থাকেন এই শহরে। গত কয়েক বছরে দেশজুড়ে যত ধর্ষণ হয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগের পিছনেই অবৈধ অভিবাসীরা অভিযুক্ত বলে প্রকাশিত হয়েছে এক সমীক্ষায়। গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে স্কুল-পড়ুয়াদের উপর হিংসার ঘটনাও। দেশের ৫৯টি এলাকা-কে বিপজ্জনক বলে এখন চিহ্নিত করেছে প্রশাসন-ই। যেখানে বহিরাগতরা লুটপাট, হামলার ভয়ে সূর্যাস্তের পর ঢুকতে পারেন না। অপরাধের বাড়বাড়ন্তের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের-ই দায়ী করেছেন সুইডেনের আদি বাসিন্দারা। দেশ ইসলামপন্থী হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। আজ সুইডেনের প্রাথমিক স্কুলগুলির তিনজন শিক্ষকদের মধ্যে দুজন নাকি সুইডিশ ভাষাতে কথাই বলতে পারেন না। আদি সুইডিশ-রাই আজ সে দেশে সংখ্যালঘু বলেও ক্ষোভ উগরে রাস্তায় মিছিল বার করেছেন বাসিন্দারা।
