
ওয়াশিংটন: রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। বিশ্ব রাজনীতির পরিস্থিতিটা এখন কার্যত এরকমই। একজন বিশ্বের বৃহত্তম দেশ, অন্যজন দ্বিতীয় বৃহত্তম। আর তাদের শুল্কযুদ্ধের মাঝে হিমশিম খাচ্ছে বাকি দেশগুলো। ট্রাম্প নিজের প্রেসিডেন্ট পদ ‘পুনরুদ্ধারের’ পর যে হাতাহাতিটা শুরু করেছিলেন, তা এখন পরিণত হয়েছে ‘খণ্ডযুদ্ধে’।
সোমবার চিনের উপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগেও বেজিংয়ের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল আমেরিকা। বুধবার মধ্যরাতে চাপানো হয়েছে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক। তার পাল্টা মার্কিন পণ্যের উপরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে চিন। এবার সেই চিনকে আরও বড় হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের। একেবারে বাড়তি ৫০ শতাংশ শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হুমকি দিলেন তিনি। চুপ থাকেনি লালফৌজের সরকার। এই হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে চিনা বাণিজ্য মন্ত্রীর দাবি, ‘একের পর এক ভুল করছে আমেরিকা।’ মন্ত্রীর আরও বলেন, ‘আমেরিকা যদি এ ভাবে গোয়ার্তুমি করে যায়, তবে চিনকেও সেই একই পথেই নামতে হবে।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্প যদি সত্যিই এই বাড়তি ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেয় তাহলে, বেজিংয়ের উপর প্রযুক্ত শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০৪ শতাংশ। যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের খাতিরে ‘শঙ্কাজনক’ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
ইতিমধ্য়েই ট্রাম্পের ‘শুল্কাঘাত’ ঘিরে বিশ্ববাজারে বাড়ছে ‘যন্ত্রণা’। এমন জেদ দেখিয়ে ট্রাম্প আখেড়ে আমেরিকার বিপদ ডেকে আনছেন, বলেই মত প্রকাশ একাংশের বিশেষজ্ঞদের। এই ট্যারিফ যুদ্ধ প্রসঙ্গে মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্থা জেপি মর্গ্যানের অনুমান, চলতি বছরেই মন্দার মুখে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি, সারা বিশ্বেও আর্থিক মন্দা পৌঁছে যেতে পারে ৬০ শতাংশ।