
নয়াদিল্লি: দল ভারী করার চেষ্টা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একদিকে জাপান হয়ে চিনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই আবহেই হোয়াইট হাউস থেকে ইউরোপের দেশগুলির কাছে গেল বার্তা। বিশ্বযুদ্ধের পর ঠিক যেমন ঠান্ডা লড়়াইকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে ভেঙে গিয়েছিল পৃথিবী। সেই ছবিই কি তবে আবার দেখা যাবে?
কী বার্তা পাঠালেন ট্রাম্প?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের ক্ষেত্রে শুল্কনীতি আরোপের প্রসঙ্গে ইউরোপের দেশগুলিকে আমেরিকার পথ অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। সহজ কথায়, ঠিক যেমন ভাবে তারা ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্কের বোঝা চাপিয়েছে, সেই একই ভাবে ইউরোপও যেন নয়াদিল্লির দিকে শুল্কবাণ ছুড়ে দেয় বলে প্রস্তাব দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
এই শুল্ক চাপানোর ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলির কাছে একই যুক্তি পেশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের সাফ কথা, ভারত রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ‘জ্বালানি’ জোগাচ্ছে। তাই ‘সাজা’ দিতে ইউরোপকেও একই পথের পথিক হতে বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তবে শুধুই কি রুশ তেল কেনার জন্য এই জরিমানা চাপাচ্ছেন ট্রাম্প? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে আরও বড় কোনও কৌশল? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ইউরোপের দেশগুলির কাছে ট্রাম্পের এই বার্তা যখন পৌঁছল, তখন সাংহাই কর্পোরেশনে যোগ দিতে চিন সফরে গিয়েছেন মোদী। বছরের পাঁচেক আগের তিক্ততাকে সরিয়ে রেখে নতুন করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছে ভারত-চিন। কারণ একটাই, ট্রাম্পের শুল্ক রোখা। আর এই জোট যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহ্য হবে না, সেটাই স্বাভাবিক।