
তেহরান: আঘাত-প্রত্যাঘাত। লাল হয়ে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ। হাওয়ার সঙ্গে গা এলিয়ে পাক খাচ্ছে যুদ্ধের আশঙ্কা। শুক্রবার ভোররাতে ইরানের পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইহুদি ভূম ইজরায়েল। হামলা চালানো হল তাদের সামরিক ঘাঁটিতেও। গোটা ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ইরানের শীর্ষ সেনাকর্তা-সহ ছয় পরমাণু বিজ্ঞানীর। চুপ করে বসেনি তেহরান। নেতানিয়াহুকে উচিত শিক্ষা দিতে ১০০ ড্রোন নিয়ে প্রত্য়াঘাত করেছে তারা।
মধ্যপ্রাচ্যের দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে হাতাহাতি হতেই দূরত্ব তৈরি করেছে আমেরিকা। কারণ, বিশ্বের আর প্রতিটি সংঘাতের মতোই এই সংঘাতেও আমেরিকা-যোগ খুঁজতে উদ্বিগ্ন হয়েছে একটা বড় অংশ। ইরানের এই পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। ইজরায়েলি হামলা তাদেরই উস্কানি নয় তো? প্রশ্ন জোড়ালো হওয়ার আগেই উত্তর দিয়ে দিয়েছে আমেরিকা বিদেশসচিব।
ইরান-ইজরায়েলি সংঘাতের মাঝে আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো জানিয়েছে, ‘ইরানের বিরুদ্ধে চলা হামলার সঙ্গে আমেরিকার কোনও যোগ নেই। আপাতত আমাদের একটাই লক্ষ্য সেই এলাকায় থাকা মার্কিন সেনাকে নিরাপদ রাখা। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে রাখি, ইরান যেন কোনও ভাবে আমেরিকাকে নিশানায় আনার চেষ্টা না করে।’
রুবিয়ো চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দিন শেষে সেই চেষ্টা দাঁড়ায়নি, বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যার কারণ ট্রাম্প। সংঘাতে তার একটা পরোক্ষ মদত আছে বলে দাবি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের। তারা তাদের একটি প্রতিবেদনে লিখেছে, ইরানের বেশির ভাগ পরমাণু কেন্দ্র মাটির নীচে। যা ইজরায়েলের পক্ষে আমেরিকার মদত ছাড়া খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে সংঘাত শুরুর পরেই ট্রাম্প দিয়েছেন শান্তিবার্তা। দুই দেশকে সংঘাত থেকে দূরে থেকে শান্তির বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।