Donald Trump Harvard University: ‘কথা শোনেনি’ হার্ভাড! ‘শাস্তির খাঁড়া’ নামিয়ে আর্থিক অনুদান বন্ধ করল ট্রাম্প

Donald Trump Harvard University: বিগত কয়েক মাস ধরেই হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ, এমনকি সাম্প্রতিককালে গাজ়ায় চালানো ইজরায়েলের ভয়াবহ হামলা নিয়ে হার্ভাডের ক্য়াম্পাসে সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা। বেড়েছে প্যালেস্তাইনের সমর্থনে স্লোগান।

Donald Trump Harvard University: কথা শোনেনি হার্ভাড! শাস্তির খাঁড়া নামিয়ে আর্থিক অনুদান বন্ধ করল ট্রাম্প
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image | PTI

|

Apr 15, 2025 | 1:23 PM

ওয়াশিংটন: আমেরিকা তথা বিশ্বের অন্যতম অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এটি একটি। এবার সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিবাদ জুড়ে অনুদান বন্ধ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২০ কোটি মার্কিন ডলারের আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন।

এটা কি তবে শিক্ষাঙ্গনের উপর শাস্তির খাঁড়া? ট্রাম্পের কাণ্ড কারখানা দেখে প্রশ্ন তুলছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন এমন অনুদান বন্ধ করার ঘোষণা করল ট্রাম্প প্রশাসন? জানা গিয়েছে, এই যত বিপত্তির নেপথ্য রয়েছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ। যার প্রভাব পড়েছে আমেরিকার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রভাবিত ছাত্রদের মন। আরও রাজনৈতিক হয়েছে তারা।

বিগত কয়েক মাস ধরেই হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ, এমনকি সাম্প্রতিককালে গাজ়ায় চালানো ইজরায়েলের ভয়াবহ হামলা নিয়ে হার্ভাডের ক্য়াম্পাসে সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা। বেড়েছে প্যালেস্তাইনের সমর্থনে স্লোগান। যার জেরে মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইহুদি-বিদ্বেষ চলছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অপেক্ষা না করে ময়দানে নামে ট্রাম্প প্রশাসন। একটি নীতিমালা জারি করে, সেগুলি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের ‘মানতে হবে’ বলে নির্দেশ দেন তারা। কিন্তু সোমবার সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সুর চড়ায় হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাস চত্বরে যে এই নির্দেশিকা মানা হবে না, সেই নিয়ে হার্ভাড কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠিও দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যালান গার্বার। তার কয়েক ঘণ্টা কাটতেই বন্ধ হয়ে যায় হার্ভাডের অনুদান।

ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী মার্কিন সফরে হওয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেই এই ‘ইহুদি-বিদ্বেষ’ নিয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে। যার জেরেই এই সিদ্ধান্ত।