
নয়াদিল্লি: মাস কয়েক পরেই পবিত্র হজ। কিন্তু তাতে যোগ দিতে পারবেন না পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষরা। শিয়রে যখন হজযাত্রা, সেই আবহে বিশ্বের মোট ১৪টি দেশের উপর ভিসায় স্থগিতাদেশ চাপাল সৌদি আরব। জানা গিয়েছে, এই ভিসায় স্থগিতাদেশের তালিকায় নাম রয়েছে ভারতেরও।
কিন্তু হঠাৎ করেই কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল আরব দেশ? একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতবারের হজযাত্রায় হওয়া বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বছরে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সৌদি আরব। তাদের দাবি, মূলত হজের নামে এসে বহু বিদেশি নাগরিকই বাড়তি সময় সেদেশে থেকে যান। যার জেরে বাড়ে ভিড়, তৈরি হয় অচলাবস্থা। যা এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত।
তাদের আরও দাবি, বাড়তি সময় থেকে যাওয়া তো বটেই, সেই সময়কালে ওয়ার্কিং ভিসা ছাড়াই বহু বিদেশি নাগরিক বাড়তি উপার্জনের জন্য সৌদি আরবে এসে নানা কাজে যোগ দেন। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, এই বাড়তি আয়ের অছিলায় নানা অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান বিদেশি নাগরিকরা।
তবে এই ভিসা অনুমোদনে স্থগিতাদেশের ঘটনায় সৌদি আরবকে যাতে কোনও কূটনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়, সেই প্রসঙ্গে সেদেশের হজ মন্ত্রণালয় তরফে জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত কোনও কূটনৈতিক চাল নয়। বরং দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে সামাল দিতেই নেওয়া। তারা এও জানিয়েছে, যারা ইতিমধ্য়েই ভিসায় অনুমোদন পেয়েছেন, তারা ১৩ এপ্রিলের আগে পর্যন্তই দেশে ঢোকার অনুমতি পাবেন।