
নয়াদিল্লি: সাগর দিয়ে যেতে পারবে না একটা জাহাজও। ইজরায়েল-ইরানের সংঘাতের মাঝে আশঙ্কার মেঘ জড়ো হয়ে গেল লোহিত সাগরে। মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশের মধ্যে চলা সংঘাতে ঘুরপথে ঢুকে পড়ল আরও একটি দেশ।
শনিবার আমেরিকার দিকে হুঁশিয়ারি তোপ দাগল ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী। স্পষ্ট ভাষায় তারা জানিয়ে দিল, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের মাঝে ইজরায়েল কোনও ভাবে সমর্থন জোগায়, তা হলে তারাও লোহিত সাগর দিয়ে একটাও মার্কিন জাহাজ পেরতে দেবে না।
ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসদের পারদ চড়তেই চাপে পড়েছিল আমেরিকা। ক্রমাগত তাদের জাহাজগুলিকে লক্ষ্য করে লোহিত সাগরে হামলা চালাচ্ছিল ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী। হাড়ে মজ্জায় তারা টের পেয়েছিল ইজরায়েলকে সমর্থনের পরিণতি কী হতে পারে। ইরানের সঙ্গে সেই ইহুদি ভূমের পারদ চড়তেই আবার আমেরিকাকে অতীতের কথাই মনে করিয়ে দিল ওই গোষ্ঠী।
অবশ্য, চলতি বছরের মে মাসেই হুথিদের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হোয়াইট হাউস। পেয়েছে লোহিত সাগরে অবাধ বিচারের অনুমতি। কিন্তু ইরানের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাত চড়তেই শঙ্কায় আমেরিকার বাণিজ্যিক ভবিষ্যৎ।
উল্লেখ্য, দুুই দেশের সংঘাতে বিধ্বস্ত জনজীবন। শুক্রবার ইজরায়েলের উপর ক্লাস্টার বোমা ছুড়েছে ইরান। এই বোমায় পারমাণবিক না থাকলেও, এর ভয়াবহতা প্রশ্নতীত। কারণ, এটি এমন এক ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র, যা নির্দিষ্ট নিশানায় পৌঁছতেই তা থেকে বেরিয়ে আসে অসংখ্য ছোট ছোট বোমা। যা ধ্বংস চালায় গোটা এলাকা জুড়ে। শুক্রবার এরকই সম্ভবত একাধিক মিসাইল ছুড়েছিল ইরান। তবে সেই হামলায় কতজনের প্রাণ গিয়েছে, সেই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা তৈরি করে রেখেছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন।
ইজরায়েলের দাবি, সংঘাতে এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ২৪ জনের। অন্য দিকে, ইরান নিজেদের দেশে হওয়া মৃত্যুমিছিলের যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে তারা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সংঘাতে মৃত্যু হয়েছে ৪৩০ জনের। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ জন।