‘সুপ্রিম’ হস্তক্ষেপের জের, অবশেষে আইনি সাহায্য পাবেন কেরলের ধৃত সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান

হাথরস যাওয়ার পথে ধৃত কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে (Siddique Kappan) অবশেষে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, জেলবন্দি সাংবাদিকের সঙ্গে কোনও আইনজীবী সাক্ষাৎ করলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই

'সুপ্রিম' হস্তক্ষেপের জের, অবশেষে আইনি সাহায্য পাবেন কেরলের ধৃত সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান
সিদ্দিক কাপ্পান সুপ্রিম কোর্ট
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 7:49 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: উত্তর প্রদেশের হাথরস যাওয়ার পথে ধৃত কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে (Siddique Kappan) অবশেষে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে এই মামলার শেষ শুনানির খবর সংবাদমাধ্যমে ‘অন্যায়ভাবে পরিবেশিত’ হয়েছে বলে বিরক্তি প্রকাশ করেছে আদালত।

সিদ্দিক কাপ্পানকে গ্রেফতার ও ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করার পর এক মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আইনি সাহায্য থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছিল ওই সাংবাদিককে। উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) প্রশাসন ‘গায়ের জোরে’ তাঁকে আটকে রেখেছে, এমন দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে কেরলের এক সাংবাদিক সংগঠন পিটিশন দায়ের করে। জবাব চেয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস জারির মাধ্যমে সাংবাদিক পক্ষের আইনজীবীকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আপিল করতে বলেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে (CJI)।

শুক্রবার উত্তর প্রদেশ সরকার এক হলফনামার মাধ্যমে নোটিসের জবাব দাখিল করে আদালতে। যোগী সরকারের প্রতিনিধি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, জেলবন্দি সাংবাদিকের সঙ্গে কোনও আইনজীবী সাক্ষাৎ করলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। উত্তর প্রদেশ সরকার আইনি সহায়তা নিতে দিচ্ছে না, এমন অভিযোগ খারিজ করেন তিনি। এরপরই সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করা কপিল সিব্বলকে শীর্ষ আদালত সিদ্দিক কাপ্পানের সঙ্গে দেখা করার ও ‘ওকালতনামা’-য় স্বাক্ষর নেওয়ার অনুমতি দেয়।

কিন্তু, এই মামলায় আদালতের আগের নির্দেশ নিয়ে যেভাবে সংবাদ মাধ্যমে খবর পরিবেশন করা হয়েছে, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সিব্বলকে উদ্দেশ্য করে বোবদে বলেন, ‘আমাদের নির্দেশ সম্পর্কে খুব ভুল রিপোর্টিং হয়েছে। বলা হচ্ছে, আমরা নাকি জামিন দিতে অস্বীকার করেছি!’ জবাবে সিব্বল বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার কিছু করার নেই। ভুল রিপোর্টিং প্রত্যেকদিন হচ্ছে।’ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে আদালত।

আগের নির্দেশে কী বলেছিল আদালত?

গত সোমবার সিদ্দিক কাপ্পানের মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে উঠলে তারা প্রশ্ন করেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টে না গিয়ে সোজা সুপ্রিম কোর্টে কেন এসেছেন আবেদনকারীরা? প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা হাইকোর্টে যাচ্ছেন না কেন?’ জবাবে সিব্বল বলেন, এখানে একজন সাংবাদিকদের প্রাথমিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে অন্যরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জবাবে বোবদে বলেন, ‘ঠিক আছে। আমরা নোটিস দিচ্ছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা আপনাদের হাইকোর্টে পাঠাব।’

আরও পড়ুন: অবিলম্বে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা মেটাতে হবে ‘সাহারাশ্রী’ সুব্রত রায়কে, নতুবা ফের টানবেন জেলের ঘানি

আসলে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর দ্রুত জামিন নিয়ে হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, ‘অর্ণবকে জামিন না দিলে কি অবিচার হবে না? রাজ্যেরও বোঝা উচিত সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করার জন্য রয়েছে।’ তবে, কাপ্পানের ক্ষেত্রে আদালত হাইকোর্টের যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় সংবাদ মাধ্যমের একাংশ আদালতের রায়ের সমালোচনায় মেতে ওঠে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন বিরক্তি ঝরে পড়ে প্রধান বিচারপতির গলায়।