Hottest Year: গা-গরম রেকর্ড! ইতিহাসের পাতায় নাম উঠে গেল ২০২৪-র
Hottest Year: পৃথিবীর হাওয়া যে বদলাচ্ছে, আর তার পিছনে রয়েছে মানুষেরই হাত। বলছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। লাগামছাড়া দূষণ, অপরিকল্পিত নগরায়নেরই খেসারত দিচ্ছে বিশ্ব। সবথেকে বেশি দায়ী উন্নত দেশগুলি। হু হু করে গলছে আন্টার্কটিকার বরফ।
কলকাতা: ফুটছে উষ্ণ বসুন্ধরা, লাগামছাড়া গরম। পৃথিবীর উষ্ণতম বছরের তকমা পেল ২০২৪। ভেঙে গেল ২০২৩ সালের রেকর্ডও। এই প্রথম পেরিয়ে গেল ‘দেড় ডিগ্রির চৌকাঠ’! শিল্প যুগের আগের তুলনায় ১.৬ ডিগ্রি বেশি উষ্ণ পৃথিবী। শেষ ১০ বছরই উষ্ণতম দশের তালিকায়। পরিবেশপ্রেমীরা বলছেন, নামেই ঘটা করে জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন। কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই। সেটাই বোঝাচ্ছে প্রকৃতি।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই প্রকৃতির রুদ্ররূপের সাক্ষী থাকছে গোটা পৃথিবী। কোথাও প্রবল ঠান্ডা, কোথাও আবার মরু রাজ্যের গরম, বদলাচ্ছে ঋতুর ভোল! অন্য দেশ তো বটেই খেসারত দিয়েছে ভারতও। একদিকে খরার কবলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি একের পর এক রাজ্যে। অন্যদিকে বন্যার কবলে পড়েছে পাহাড়ি রাজ্যগুলিও। প্রাণহানিও লাগামছাড়া।
২০২৩ ছিল প্রথম বছর যার সমস্ত দিন প্রিইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্বের আগে ১ ডিগ্রি বেশি উষ্ণ ছিল। গত বছরেই জানিয়েছিলেন কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (C3S)-এর ডেপুটি হেড সামন্থ বার্গ্রেস। ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে বেড়েছিল উদ্বেগ। এবার চব্বিশেও কার্যত একই প্রতিচ্ছবি।
পৃথিবীর হাওয়া যে বদলাচ্ছে, আর তার পিছনে রয়েছে মানুষেরই হাত। বলছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। লাগামছাড়া দূষণ, অপরিকল্পিত নগরায়নেরই খেসারত দিচ্ছে বিশ্ব। সবথেকে বেশি দায়ী উন্নত দেশগুলি। হু হু করে গলছে আন্টার্কটিকার বরফ। বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। সব মিলিয়ে অবস্থা যে দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে তা মানছেন সকলেই। গলছে আন্তর্জাতিক মহলে বারবার নিয়ে উদ্বেগের মেঘের সঞ্চার হলে বসেছে আলাপ-আলোচনার আসর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত। কিন্তু, দিনের শেষে বাস্তবয়নের ক্ষেত্রেই সবটাই পড়েছে প্রশ্নের মুখে।