‘ভলিয়্যুম’ কমে গিয়েছে কেষ্টর, এবার স্পিকারটাও বন্ধ হবে’ অনুব্রতকে পাল্টা দিলীপ

বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে পাল্টা আক্রমণ বিজেপি রাজ্য সভাপতির। দিলীপ এদিন বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের ভলিয়্যুম কমে গিয়েছে। আগামী দিনে তাঁর স্পিকারও বন্ধ হয়ে যাবে।

'ভলিয়্যুম' কমে গিয়েছে কেষ্টর, এবার স্পিকারটাও বন্ধ হবে' অনুব্রতকে পাল্টা দিলীপ
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 10:03 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘বিশেষ শর্তাবলী’ প্রয়োগ করে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) তৃণমূলে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে পাল্টা আক্রমণ বিজেপি রাজ্য সভাপতির। দিলীপ এদিন বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের ভলিয়্যুম কমে গিয়েছে। আগামী দিনে তাঁর স্পিকারও বন্ধ হয়ে যাবে।

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার, বীরভূমের ইলামবাজারের একটি দলীয় সভা থেকে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে তাঁকে ‘বড় ভয়ঙ্কর ভাইরাস’ আখ্যা দেন অনুব্রত। তিনি আরও বলেন, ওঁর চেয়ে বড় ভাইরাস পশ্চিমবঙ্গে আর দ্বিতীয় কেউ নেই। এরপরই বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান কেষ্ট। ‘দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের এলে আমাদের বুথ কমিটির লোকেরা দলে নিয়ে নেবে। কিন্তু ও ভয়ঙ্কর ভাইরাস।’ তাই শর্ত হিসেবে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে স্যানিটাইজ করিয়ে গোবর মাখিয়ে ডোবার জলে স্নান করানোর নিদান দেন তিনি।

অনুব্রতর এই আক্রমণকে অবশ্য বিশেষ পাত্তা দেননি দিলীপবাবু। উল্টে পাল্টা নিশানায় নিয়েছেন তৃণমূল নেতাকে। এদিন তিনি বলেছেন, উনি (অনুব্রত) তো এর আগেও অনেক ডায়লগ দিয়েছেন। কিছুই করেননি। আগে বলেছিলেন ঢাক বাজাবেন। আমি বললাম যে তাহলে ধামসা নিয়ে যাচ্ছি। ঢাকের আওয়াজ তো আর শোনা গেল না। তাই ধামসাও বাজাইনি। এখন ওনার ভলিয়্যুমটা অনেকটা কমে গিয়েছে। মনে হয় ধীরে ধীরে স্পিকারও বন্ধ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: এক সময় মুণ্ডুপাত করতেন, এখন সেই শুভেন্দুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতী ঘোষ

বিতর্কিত মন্তব্য করে হামেশাই সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের ‘ঝাঁজ’ যে গত এক বছরে কিছুটা হলেও কমেছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। আগে যে অনুব্রত বিস্ফোরক মন্তব্য করে রোজই খবরের শিরোনামে আসতেন ও অনেক সময়ই দলকে বিপাকে ফেলতেন, তিনি এখন অনেকটাই চুপসে গিয়েছেন। দিলীপের ভাষায়, অনুব্রতর এই ‘ভলিয়্যুম’ কমে যাওয়ার নেপথ্যে প্রশান্ত কিশোরের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফলের পর প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেন। এবং মাসখানেকের মধ্যে এমন কয়েকজন নেতাদের মুখে ‘নিউকোপ্লাস্ট’ লাগাতে বাধ্য করেন, যাদের ‘মুখের ভাষা’ দলকে অসুবিধায় ফেলেছে।