এক সময় মুণ্ডুপাত করতেন, এখন সেই শুভেন্দুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতী ঘোষ
ভারতী ঘোষ দিনকয়েক আগে শুভেন্দু সম্পর্কে যেরকম গালভরা প্রশংসা করেছেন, তাতে অধিকারী পরিবারে গেরুয়া ছটা লাগার সম্ভাবনা বেশ খানিকটা আসকারা পেয়েছে,
TV9 বাংলা ডিজিটাল: শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ঘিরে ধোঁয়াশা কাটছে না। কখনও তিনি বলছেন, দলেই রয়েছেন। কখনও আবার দলের সাংসদের বিরুদ্ধে তাঁর কেন্দ্রে গিয়েই সুর চড়াচ্ছেন। ‘দাদার অনুগামী’রা আবার রাজ্য জুড়ে পোস্টার দিয়ে চলেছেন। অন্যদিকে বিজেপি নেতারা কেউ-ই শুভেন্দুকে নিয়ে ঝেড়ে কাশছেন না। আবার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। নন্দীগ্রামের এই পোড় খাওয়া নেতা নিজে অবশ্য সব বলবেন বলে জানিয়ে রেখেছেন। কিন্তু এখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে বিজেপি (BJP) নেত্রী ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh) দিনকয়েক আগে শুভেন্দু সম্পর্কে যেরকম গালভরা প্রশংসা করেছেন, তাতে অধিকারী পরিবারে গেরুয়া ছটা লাগার সম্ভাবনা বেশ খানিকটা আসকারা পেয়েছে।
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামের একটি জনসভায় তৃণমূল নেতৃত্বকে বিঁধে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসায় মেতে ওঠেন ভারতী। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিস সুপারকে বলতে শোনা যায়, ‘শুভেন্দু একজন জননেতা, তিনি দলে এলে তাঁকে স্বাগত’। বিজেপি নেত্রীর প্রশ্ন, শুভেন্দুর মতো নেতাকে যদি তৃণমূল (TMC) সম্মান না জানাতে পারে, তবে বাংলার মানুষকে জানাবে কীভাবে? ২০২১ সালের পর তৃণমূলকে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে দাবিও করেন তিনি।
ভারতীদেবীর এই বক্তব্য আপাতভাবে রাজনৈতিক হলেও এর পেছনে গভীর তাৎপর্য রয়েছে। কেননা এই ভারতী ঘোষ-ই একদময় দু’চোক্ষে সহ্য করতে পারতেন না অধিকারী পরিবারের এই সদস্যকে। উঠতে-বসতে মুণ্ডুপাত করতেন। এমনকী শুভেন্দুর মদতেই রাজ্য প্রশাসন তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে বছরখানেক আগেই দাবি করেছিলেন তিনি। এখন সেই শুভেন্দুকে নিয়ে পুরোপুরি উল্টো সুর গাইছেন ভারতী।
আরও পড়ুন: দিলীপ ‘ভয়ঙ্কর ভাইরাস’! তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য হিসাবে নেওয়া যেতে পারে: অনুব্রত
ফলে প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দুর গেরুয়া-যোগ পাকা; মুরলীধর সেন লেন থেকে এমন কোনও ইঙ্গিত পেয়েই কি ভারতী এই মন্তব্যগুলি করেছেন? নতুবা যার সঙ্গে তাঁর এত শত্রুতা, সেই ব্যক্তির প্রসঙ্গ তিনি চাইলে এড়িয়েও যেতে পারতেন। সেটা না করে উল্টে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে জল্পনা নতুন করে বাড়িয়ে দিয়েছেন ভারতী ঘোষ।