হঠাৎ বৃষ্টিতে নষ্ট সবজি, মাথায় হাত ভাঙড়ের চাষিদের
সবজির আড়ত ভাঙড়ে ধরেছে ভাঙন। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেও শীত সেভাবে জাঁকিয়ে বসেনি। শনিবার হয়ে গেল এক পশলা বৃষ্টি। আবহাওয়া খারাপ হচ্ছে ক্রমাগত। ফলে শীতের সবজির মরশুম খারাপ। আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না চাষিরা
TV9 বাংলা ডিজিটাল : সবজিই সম্বল ওঁদের। টম্যাটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম হরেক রকম সবজি খেত থেকে সোজা চলে যায় বড়বাজারে। সেখান থেকে পাওয়া টাকাতেই সংসার চলে লোকমান, সলেমান মোল্লাদের। কথা হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South24 Pargana) ভাঙড়ের (Bhangar)।
সবজির আড়ত ভাঙড়ে ধরেছে ভাঙন। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেও শীত সেভাবে জাঁকিয়ে বসেনি। শনিবার হয়ে গেল এক পশলা বৃষ্টি। আবহাওয়া খারাপ হচ্ছে ক্রমাগত। ফলে শীতের সবজির মরশুম খারাপ। আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না চাষিরা(South 24 Pargana Farmers are in trouble in Bhangar)। যথাযথ ঠাণ্ডা না পড়ায় একেই ফলন ভাল হচ্ছে না। উপরন্তু, হঠাৎ বৃষ্টিতে জল জমছে সবজি ক্ষেতে। মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ফসল। এই পরিস্থিতিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি যা কিছু বেঁচে যাচ্ছে সব নিয়েই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন : শীতের আমেজ বাংলায়, শীতকাল কি এসেই গেল!
করোনা আবহে এমনিই ক্ষতি হয়েছে চাষের। লকডাউনের আগে ভাঙড়ের সবজি পাড়ি দিত সিঙ্গাপুর(Singapore), মালয়েশিয়া, দুবাই (Dubai), বাংলাদেশে (Bangladesh)। এখানকার ‘সুখসাগর’ পেঁয়াজ আর কাঠিলঙ্কার ব্যাপক চাহিদা বাংলাদেশে। অন্যদিকে, কলকাতা, শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ, দুর্গাপুরের মতো বাজারেও শীতের সবজি বায়না সামাল দেয় ভাঙড়ের আড়ৎ। এ বছরের ছবিটাই উল্টো। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জন্য চিন্তিত ভাঙড় ভেজিটেবল প্রোডিউসার কোম্পানির সভাপতি আব্দুল জব্বর খান। ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৭ টি দলের ১৭৫০ জন কৃষক তাঁর কোম্পানির সদস্য। সুফল বাংলার (Sufal Bangla)৭০ টি স্টলে ভাঙড়ের সব্জি পৌঁছে দেয় তাঁর কোম্পানি। কিন্তু, এ বছর উৎপাদন কম। চাহিদা বেশি। সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা। শনিবার নিজের খেত থেকে সবজি তুলতে তুলতে সলেমান বলেন, “চার বিঘা জমির ফসল মাটিতে শুয়ে পড়েছে। ক্যাপসিকাম,কপি সবই নষ্ট। যতটা বাঁচানো গেছে লাঠি দিয়ে বেঁধে রাখতে হচ্ছে। ” লোকমান বলেন, “জলহাওয়া ঠিক না হলে আমরা বাঁচবো না। সারাবছরের সম্বল আমাদের এই শীতের সব্জি। আবার যদি বৃষ্টি হয় তবে সব ফসল নষ্ট হবে। খরচের টাকাটাও উঠবে না।”
ভাঙড়ের ২ ব্লকের বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় জানান,এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আসেনি। সহ কৃষি অধিকর্তা এ ব্যাপারে যথাযথ খোঁজ খবর নেবে।