ভেস্তে গেল বিলাসবহুল গাড়িতে করে পাচারের ছক, শিলিগুড়িতে ৩৬টি সোনার বিস্কুট-সহ গ্রেফতার দুই
শিলিগুড়ি থেকে ৩৬টি সোনার বিস্কুট-সহ গ্রেফতার করেছে ডিরেক্টোরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমুল্য আনুমানিক দেড় কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন ডিআরআই আধিকারিকরা
TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিদেশ থেকে ভারতের পথ ধরে অন্যত্র পাচার হওয়ার আগেই তিন কেজি সোনা-সহ হাতেনাতে ধরা পড়ল দুই ব্যক্তি। শুক্রবার শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে ইউসুফ ও মিদলাজ নামক দুই ব্যক্তিকে ৩৬টি সোনার বিস্কুট-সহ (Gold Biscuit) গ্রেফতার করেছে ডিরেক্টোরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমুল্য আনুমানিক দেড় কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন ডিআরআই (DRI) আধিকারিকরা।
ধৃত ইউসুফ ও মিদলাজক ১৫ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে স্থানীয় আদালত। পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে, দুই ধৃত ব্যক্তির বাড়ি কেরলে। ওই দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাদের পরিকল্পনা ছিল, ভারত-মায়ানমার সীমান্ত থেকে অসমের পথে আমদানি করা সোনা বিদেশে পাচার করার। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় একটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে। এই পাচার-চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
আরও পড়ুন: দিলীপ ‘ভয়ঙ্কর ভাইরাস’! তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য হিসাবে নেওয়া যেতে পারে: অনুব্রত
তবে নতুন করে এই সোনা উদ্ধার হওয়ার পর ফের শিলিগুড়ির ‘চিকেনস নেক’ করিডরে নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ উঠে এসেছে। ভৌগলিক অবস্থানের প্রেক্ষিতে এই শিলিগুড়ি করিডর-ই ভারতের অন্যতম স্পর্শকাতর জায়গা বলা চলে। তাই বৈদেশিক শত্রু থেকে শুরু করে পাচারকারী, সকলের নজর থাকে চিকেসন নেকের উপর। মাত্র ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই এলাকাকে চারদিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে চিন, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ। তাই যে কোনও ধরনের বেআইনি কাজের আখড়াও হয়ে উঠেছে এই এলাকা। সোনা বা মাদক পাচারের জন্য সবসময় এই এলাকাকেই টার্গেট করে এসেছে পাচারকারীরা। আবারও সেই প্রমাণ পাওয়া গেল বিরাট পরিমাণ সোনা উদ্ধার হওয়ায়।