‘রবিবার বাড়িতে বসে কতক্ষণ স্ত্রী’র মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবেন’, অফিস করার পরামর্শ দিলেন ‘বস’
Employees: 'সংস্থার কর্মীদের শনিবার কাজ করতে হয় কেন?' উত্তরে ওই কর্তা বলছেন, 'সত্যি কথা বলতে, আমার আফশোস যে আমি আপনাদের রবিবারও কাজ করাতে পারি না। রবিবার কাজ করাতে পারলে আমি আরও বেশি খুশি হতাম।'
নয়া দিল্লি: সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করা উচিত। এ কথা বলায় ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তিকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। আর এবার আর এক সংস্থার কর্তার মুখে শোনা গেল ৯০ ঘণ্টা কাজ করার কথা। রবিবার বসে না থেকে কাজ করতে হবে, এমনটাও বলেছেন ‘লারসেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেড’-এর কর্তা এস এন সুব্রহ্মণ্য। সংস্থার অন্দরেই কাজের সময় নিয়ে এমন আলোচনা করেছেন তিনি, আর সেই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে ‘রেডিট’ (Reddit)-এ। শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ‘এল অ্যান্ড টি’ সংস্থার চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, ‘সংস্থার কর্মীদের শনিবার কাজ করতে হয় কেন?’ উত্তরে ওই কর্তা বলছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমার আফশোস যে আমি আপনাদের রবিবারও কাজ করাতে পারি না। রবিবার কাজ করাতে পারলে আমি আরও বেশি খুশি হতাম, কারণ রবিবার আমি নিজেও কাজ করি।’
এখানেই শেষ নয়। সংস্থার চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, “রবিবার বাড়িতে বসে কী করবেন? কতক্ষণ আর স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকবেন? স্ত্রীরাই বা কতক্ষণ স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকবেন? অফিসে যাবেন, কাজ করবেন।”
এই প্রসঙ্গে উদাহরণও দিয়েছেন ওই উচ্চপদস্থ কর্তা। এক চিনা ব্যক্তি নাকি তাঁকে বলেছিলেন, চিন তাদের কর্মসংস্কৃতিতে আমেরিকাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। সেই চিনা ব্যক্তিই নাকি বলেছিলেন, “চিনে মানুষ সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করেন। আমেরিকাবাসী কাজ করেন মাত্র ৫০ ঘণ্টা।” তাই এস এন সুব্রহ্মণ্য চান, তাঁর সংস্থার কর্মীরাও ওই ভাবে সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করুন। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “উপরে উঠতে চাইলে, আপনাকে ৯০ ঘণ্টা কাজ করতেই হবে।”
রেডিট-এ এক ইউজার বলছেন, দাসত্বকেই প্রোমোট করছেন উনি। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বেশি সময় কাজ করার জন্য কি বেশি টাকা দেওয়া হবে?