Woman With 2 Reproductive Systems: প্রজনন অঙ্গেই লুকিয়ে সেই শক্তি, এক মহিলা একই সঙ্গে হলেন ‘মা’ ও ‘বাবা’, জানেন কীভাবে? চিকিৎসাবিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য দিক

Woman With 2 Reproductive Systems: ১৮ বছর বয়সে লিউ-এর জীবনে একটা বড় পরিবর্তন আসে। ট্যাং নামে এক যুবকের প্রেমে পড়েন লিউ। তাঁকে বিয়েও করেন। এক বছর পর তাঁর এক পুত্রসন্তান হয়। ছেলের বয়স যখন এক, তখন থেকেই অদ্ভূুতভাবে লিউয়ের শরীরে বিশাল পরিবর্তন আসতে শুরু করে।

Woman With 2 Reproductive Systems:  প্রজনন অঙ্গেই লুকিয়ে সেই শক্তি, এক মহিলা একই সঙ্গে হলেন 'মা' ও 'বাবা', জানেন কীভাবে? চিকিৎসাবিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য দিক
Follow Us:
| Updated on: Jan 09, 2025 | 5:54 PM

বেজিং: এক মহিলা। বয়স ৫৯। তিনি এক অদ্ভূত ক্ষমতার অধিকারী। পুরোটাই ইশ্বরপ্রদত্ত। কখনও শুনেছেন, একজন মানুষ একইসঙ্গে মা ও বাবা-দুই হতে পারেন? অবাক লাগছে শুনতে! কিন্তু এটাই বাস্তব। এই প্রৌঢ়া একই সঙ্গে মা ও বাবা হয়েছে। দুটি ভিন্ন বিয়েতে। প্রথম বিয়েতে মা হয়েছেন, দ্বিতীয় বিয়েতে বাবা!

নাম লিউ। দক্ষিণ চিনের বাসিন্দা। তিনি এই বিরল প্রজনন ক্ষমতার অধিকারী। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট অনুসারে, ওই লিউ একজন মহিলা। সরকারি নথিতে তিনি নিজেকে মহিলা হিসাবেই উল্লেখ করেছেন। তাঁর দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।  তিনি প্রথম বিয়ে করেছিলেন একজন পুরুষকে। সেক্ষেত্রে তাঁর এক ছেলে হয়। দ্বিতীয় বিয়ে করেন মহিলাকে। সেক্ষেত্রেও তাঁর পুত্র সন্তান হয়। তাঁর এই কাহিনী সামনে আসতেই চিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে।

বিশাল কাউন্টির একটি গ্রামে বেড়ে ওঠা লিউ-র। ছোটবেলা থেকেই তাঁর পছন্দ একটু অন্যরকমই ছিল। আর পাঁচটা মেয়ের মতো তাঁর পছন্দ ছিল না। ছোটো চুল, পুরুষের পোশাক পরতে ভালবাসতেন। তার সময়কার সমবয়সীদের থেকে একটু আলাদাই থাকতে পছন্দ করতেন লিউ। তাঁকে এ কারণে স্কুলেও হেনস্থার শিকার হতে হত। তখনও তাঁকে পুরুষ বলে ডাকা হত, কখনও আবার বলা হত লিউকে পুরুষ বিশ্রামাগার ব্যবহার করতে।

১৮ বছর বয়সে লিউ-এর জীবনে একটা বড় পরিবর্তন আসে। ট্যাং নামে এক যুবকের প্রেমে পড়েন লিউ। তাঁকে বিয়েও করেন। এক বছর পর তাঁর এক পুত্রসন্তান হয়। ছেলের বয়স যখন এক, তখন থেকেই অদ্ভূুতভাবে লিউয়ের শরীরে বিশাল পরিবর্তন আসতে শুরু করে। অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোনের আকস্মিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দাড়ি বাড়তে থাকে, হ্রাস পেতে থাকে স্তনের আকার, পুরুষ প্রজনন অঙ্গের বিকাশ পেতে থাকে। লিউ শরীরে এই ভয়ঙ্কর পরিবর্তন মেনে নিতে পারেননি ট্যাং। লিউকে ডিভোর্স দিয়ে দেন তিনি। বাধ্য হয়ে ছেলেকে তাঁর স্বামীর কাছেই ছেড়ে আসতে বাধ্য হন লিউ। একাকী জীবন শুরু করেন।

অন্য শহরে চলে যান লিউ। একজন পুরুষ হিসাবেই বাঁচতে শুরু করেন। একটি জুতোর কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। ঝৌ নামে এক মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। তাঁকে বিয়ে করেন লিউ। বিয়ের ক্ষেত্রেও একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ তখনও সরকারি নথিতে লিউ একজন মহিলা হিসাবে উল্লেখিত।

প্রথম বেশ কয়েকজন তাঁরা লিভিং করতে থাকেন। পরে তাঁরা বিয়েও করেন। ২০০০ সালে অন্তঃসত্ত্বা হন ঝৌ। এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। লিউ-এর সত্ত্বা বদলে যায়। এক ছেলেকে তাঁকে তখনও ‘মা’ বলে ডাকেন, আরেক ছেলের কাছে লিউ ‘বাবা’। লিউ-এর এই অদ্ভুত কাহিনী প্রথম প্রকাশিত হয় স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে। পরে সেটি ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। সামাজিক মাধ্য়মে ভাইরাল হতে শুরু করে লিউ-র জীবন কাহিনী। নেটিজেনরা তাঁর ভূমিকা, সাহসে মুগ্ধ। কেউ বলেন, “লিউ সত্যিই ইশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতার অধিকারী। একই জন্মে লিউ মেয়ে, তারপর ছেলে, এক সন্তানের মা, আরেক সন্তানের বাবা! এটা অবিশ্বাস্য।”