লখনউ: প্রত্যেক ভারতীয়র মাথার উপর ছাদ যাতে থাকে, সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করেছে মোদী সরকার। তবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই এই উদ্যোগের অপব্যবহারের খবর পাওয়া যায়। কোথাও আবাস যোজনার সুবিধাভোগীর বদলে, অপর কোনও ব্যক্তি এই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও বা এই প্রকল্পরে টাকা নিয়ে তা অন্য কাজে লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাতে মহিলারা স্বাধীনতা পান, ক্ষমতায়িত হন, সেই জন্যই এই প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ করা হয় পরিবারের কোনও মহিলার নামে অথবা স্বামী-স্ত্রী দুজনের নামে। এবার এই টাকাকে নিজেদের স্বাধীন করার কাজেই লাগালেন উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকজন মহিলা। তবে একটু অন্যভাবে। আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরই যেন কর্পুরের মতো উবে গিয়েছেন তাঁরা।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম কিস্তিতে ৪০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। মানিকন্ট্রোলের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার ১১ জন মহিলা এই প্রথম কিস্তির ৪০,০০০ টাকা নিয়ে তাঁদের প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই মহিলাদের প্রত্যেকেই বিবাহিত ছিলেন। স্ত্রীরা পালানোর পর,তাঁদের স্বামীরাই সরকারি কর্তাদের কাছে এই ঘটনা জানিয়েছেন। এর ফলে, সরকারের পক্ষ থেকে ওই মহিলাদের আবাস যোজনার পরবর্তী কিস্তি প্রদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রথম কিস্তির যে টাকা নিয়ে ওই মহিলারা পালিয়েছেন, তার কী হবে? ওই মহিলাদের অবর্তমানে, তাঁদের পরিবার কীকরে ঘর পাবে, এই রকম অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের এমন একটি বিধান রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, কোনও অসঙ্গতি দেখলে দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে পারে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে, পাকা বাড়ি তৈরির জন্য সরকার প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা দেয়। আবেদনকারী পরিবারের আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে তহবিল বরাদ্দ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, মহারাজগঞ্জ জেলায় প্রায় ২,৩৫০ জন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পেয়েছেন। থুঠিবাড়ি, শীতলাপুর, চাটিয়া, রামনগর, বকুল দিহা, খসরা, কিশুনপুর এবং মেধৌলি গ্রামে অনেকের বাড়ি তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষও হয়ে গিয়েছে। শুধু, প্রথম কিস্তির টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন ওই ১১ জন মহিলা। তবে, উত্তর প্রদেশে এই ধরনের ঘটনার নজির নতুন নয়। এর আগে বারাবাঁকি জেলায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।