
বিভিন্ন জায়গায় এতদিন আপনার পরিচিতির প্রমাণপত্র হিসাবে দেখাতে হত আধার কার্ড। আর এতে ফাঁস হয়ে যেত আপনার আধার নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আর সেই কারণেই ছিল মাস্কড আধার। আর নতুন এই কিউআর কোডের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের বিষয়টা আরও স্পষ্ট ও দ্রুত হবে। এ ছাড়াও আপনি রক্ষা পাবেন জালিয়াতির থেকে।
আর নতুন এই অ্যাপ আসার ফলে ইতিহাস হতে চলেছে আপনার আধার কার্ডের ফটোকপি বা জেরক্স কপি। দেশের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি বা ইউআইডিএআইয়ের নয়া এই নিয়মের ফলে বিভিন্ন হোটেল, ইভেন্ট অর্গানাইজার সহ একাধিক সংস্থা যারা আপনার পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসাবে আধার কার্ড চায়, তাদের এবার থেকে ইউআইডিএআইয়ের অধীনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ ছাড়াও এই পরিচয় যাচাই করতে হবে ডিজিটালি।
নতুন এই নিয়ম খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর করা হচ্ছে। আর এই কার্যকর পিছনে একটাই মূল লক্ষ্য। এই যাচাইকরণ প্রক্রিয়াকে কাগজনির্ভর থেকে সরিয়ে ডিজিটাল করে দেওয়া। আসলে, আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে আধারের জেরক্স কপি জমা করি, তাতে আধারের তথ্যের অপব্যবহারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। জালিয়াতির শিকার হতে পারি আমি-আপনি। আর বর্তমান আধার আইন অনুযায়ী এই অভ্যাস সঠিক নয়।
ইউআইডিএআইয়ের সিইও ভুবনেশ কুমার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ইউআইডিএআইয়ের অধীনে সংস্থাগুলো রেজিস্ট্রেশন করলে তারা নয়া একটা প্রযুক্তির অ্যাক্সেস পাবে। আর এর ফলে, আধারের কিউআর কোড স্ক্যান করে তারা ডিজিটালি পরিচয় যাচাইকরণ করতে পারবে।
অনেকে আবার অফলাইনে ভেরিফিকেশন করতে চান। সেই ক্ষেত্রে তাঁদের একটি এপিআই বা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস কি দেওয়া হবে। আর তার ফলে তারা অফলাইনেও এই আধার ভেরিফিকেশন করতে পারবে।
নতুন আধার অ্যাপে ৫ জন পর্যন্ত পরিবারের সদস্যের তথ্য যোগ করা যাবে। যার মধ্যে মোবাইল নম্বর নেই, এমন কোনও ব্যক্তির আধারও যুক্ত করা যাবে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে দেশে ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট (ডিপিডিপি আইন) পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে। আর নতুন এই নিয়ম তারই সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি।
ফলে, এখন যদি কেউ আপনার আধার কার্ডের জেরক্স কপি চায়, তাহলে তাঁর কাছে ডিজিটালি আপনার আধার যাচাইয়ের দাবি জানাতে পারেন। আর এর ফলে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আরও সুরক্ষিত থাকবে।