
বিরাট এক ঘোষণা করল আদানি গ্রুপ। আগামী ৫ বছরের মধ্যে তারা ৫০ গিগাওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম তৈরি কুরতে চলেছে। এই কোটি কোটি ডলারের প্রজেক্ট চালু হওয়ার কথা আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ সূত্রে খবর, ১ হাজার ১২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতা নিয়ে প্রথমে কাজ শুরু করবে এই সিস্টেম। পরে, আগামী ৫ বছরে তা বাড়ানো হবে ধীরে ধীরে।
গুজরাটের খাভদা অঞ্চলে যেখানে গৌতম আদানির সংস্থা বিশ্বের বৃহত্তম নবায়নযোগ্য শক্তির কমপ্লেক্স তৈরি করছে, সেখানেই তৈরি হচ্ছে এই বিশাল ব্যাটারি স্টোরেজ সুবিধা। এই ব্যাটারি সিস্টেমের ক্যাপাসিটি হবে ৫০ গিগাওয়াট ঘণ্টা। অর্থাৎ, প্রায় ৫ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ জমা থাকবে এখানে। গোটা দেশের প্রায় ১০ দিন চলে যাবে এখানে জমা থাকা বিদ্যুতে।
বর্তমানে ভারত সৌর বিদ্যুত বা বায়ুশক্তিকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি করে। আর এই ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হল সূর্য অস্ত গেলে বা হঠাৎ বায়ুপ্রবাহ কমে গেলে বিদ্যুত উৎপাদন কমে যায়। ফলে, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সমস্যার হয়ে পড়ে। আর এখানেই এই ব্যাটারি সিস্টেম কাজে আসবে। অতিরিক্ত বিদ্যুত এখানে সঞ্চয় করে রাখা যাবে। এবং প্রয়োজন মতো এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।
আপাতত কম ক্ষমতা নিয়ে শুরু করলেও আদানি গ্রুপের লক্ষ্য আগামী ৫ অর্থ বছরের মধ্যে এই ব্যাটারির ক্ষমতা ৫০ গিগাওয়াটে নিয়ে যাওয়া। এবং আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে এই ক্ষমতাকে ১৫ গিগাওয়াট বৃদ্ধি করা।
বর্তমানে ভারতের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট। বলছে, ব্লুমবার্গ এনইএফ তথ্য। কিন্তু লক্ষ্য এটা যে, এই দশক শেষ হতে হতে দেশকে ৫০০ গিগাওয়াট ক্লিন এনার্জি উৎপাদনের ক্ষমতা অ্যাচিভ করতে হবে। এই বিশাল লক্ষ্য পূরণের জন্য ব্যাটারি স্টোরেজ অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আদানি গ্রুপের এই উদ্যোগ গ্রিন বিদ্যুতের গ্রিডের নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে ও পিক আওয়ারে গ্রিডের উপর চাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আদানি গ্রুপ প্রজেক্টের জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক সংস্থার সঙ্গে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে।