
নয়াদিল্লি: দিকভ্রষ্ট বাংলাদেশকে সঠিক পথে আনল আদানিরা। দিনের পর দিন ভারতীয় শিল্পপতির বিদ্যুতে দেশে আলো জ্বালিয়ে রেখেও টাকা দিতে পারছিল না ইউনূস সরকার। বকেয়া পড়ে গিয়েছিল কোটি কোটি টাকা। যা এবার তারা ধীরে ধীরে শোধ দিচ্ছে বলেই জানালেন আদানি পাওয়ারের সিএফও দিলীপ ঝাঁ।
বৃহস্পতিবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্পূর্ণ ভাবে চালু রেখেছি। তারা প্রতি মাসে হওয়া বিদ্যুৎ খরচের সঙ্গেই বাড়তি কিছু টাকা জুড়ে নিজেদের ঋণের বোঝা কমাতে শুরু করেছে।’
তাঁর সংযোজন, ‘আমরা আশাবাদী যে বাংলাদেশ হয়তো এই ভাবেই গোটা বকেয়াটা মিটিয়ে দিতে সক্ষম হবে।’ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে আদানিদের স্বাক্ষর হওয়া ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তির মধ্যে ১২০ কোটি টাকা মিটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, গত বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে বকেয়া মেটানো নিয়ে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল গৌতম আদানির সংস্থা। তাদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, বকেয়া টাকা খুবই ধীরে মেটাচ্ছে বাংলাদেশ। টাকা পুরোপুরি ভাবে না এলে বিদ্যুৎ পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সরকারকে একটি সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল তারা। তবে সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়নি আদানি শিল্পগোষ্ঠীকে। হুঁশিয়ারির পরেই শুধরে গিয়েছে বাংলাদেশ।
কী এই বিদ্যুৎ পরিষেবা চুক্তি?
তখন ২০১৭ সাল। শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানের চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠী। যার আওতায় ২৫ বছরের জন্য ঝাড়খণ্ডের গোদ্দা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এই পরিষেবা প্রদানের প্র্রতিশ্রুতি দেয় আদানি পাওয়ার।